গেমস প্রেমীদের জন্য দারাজ ফার্স্ট গেইম 0 621

দারাজ ফার্স্ট গেইম

দেশের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং আলিবাবা গ্রুপের দক্ষিণ এশীয় ই-কমার্স অঙ্গ সংগঠন দারাজ চালু করল দারাজ ফার্স্ট গেইমস (ডিএফজি) নামক অভিনব একটি গেইমিং প্ল্যাটফর্ম যা রেসিং, অ্যাকশন, শুটিং এবং আর্কেডসহ বিভিন্ন ধরণের ফ্রি-টু-প্লে ক্যাজুয়াল গেইমের অ্যাক্সেস সরবরাহ করে।

নতুন এই গেইমিং প্ল্যাটফর্মটি লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিকে ঘরে বসে সামাজিক দূরত্ব অনুশীলনকালীন অনলাইন টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে। এ ছাড়া ডিএফজি ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে দারাজ ওয়ালেটে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং ভাউচার জেতার সুযোগ।

গত কয়েক মাস ধরে সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন প্রক্রিয়াটি গেইমিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অভূতপূর্ব উন্নতি এনেছে এবং ডিজিটাল অ্যাডপশনের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও উল্লখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। গেইমিং অ্যাপগুলো ঘরে বসে বিনোদনের প্রধান জনপ্রিয় উৎস হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশি গ্রাহকদের মধ্যে এ জাতীয় বিনোদনের ব্যপক আগ্রহের ফলে তাদের চাহিদা মেটাতে দেশের অনলাইন শপিং জায়ান্ট দারাজ, ভারতের শীর্ষস্থানীয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম ফার্স্ট গেইমসের সহযোগিতায় ডিএফজি চালু করছে।

দারাজ (daraz.com.bd) প্রতিনিয়তই গ্রাহকেদের নতুন ধরণের অভিজ্ঞতা তৈরির জন্য উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বন করে যা শুধুমাত্র কেনাকাটার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গেমিফিকেশন সেগমেন্টটি দারাজের জন্য একটি নতুন উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে ডিএফজি শীঘ্রই বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বিনোদন চ্যানেলে পরিণত হবে যেখানে প্রফেশনাল প্লেয়ার (পেশাদার) এবং ক্যাসুয়াল প্লেয়ার উভয়ই বিভিন্ন রকমের গেইম উপভোগ করতে পারবে।

ডিজিটাল গেমিফিকেশন ক্ষেত্রে সুপরিচিত পেটিএমের ফার্স্ট গেইমসের সাথে চুক্তির ফলে দারাজ (daraz.com.bd) এখন তাদের উন্নতমানের প্রযুক্তির অ্যাক্সেস পাবে এবং অনেক বছরের অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে পারবে।

এই উপলক্ষ্যে দারাজ বাংলাদেশের (daraz.com.bd) হেড অফ ট্রাফিক অপারেশনস বারিশ খন্দকার বলেন- “আমাদের লক্ষ্য দারাজ ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা গ্লোবাল গেইমগুলো আনা ও তাদের সর্বাধুনিক কম্পেটিটিভ ফর্ম্যাটগুলি সরবরাহ করা। আমরা জানি আমাদের দেশে ডিজিটাল এন্টারটেইমেন্টের চাহিদা ব্যাপক তাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই যেন গ্রাহকরা সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারেন। আমরা এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে আরও সহায়তা করতে সক্ষম হবো।

পেটিএম ফার্স্ট গেমসের সিওও সুধাংশু গুপ্ত বলেছেন, “মোবাইল গেমারদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং উদ্ভাবনী গেইম আনার মাধ্যমে সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য। মোবাইল গেইমিং কেবল ভারতে নয়, অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলিতে প্রসারিত হচ্ছে এবং আমরা একই যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে আগ্রহী। আমরা দারাজের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের গেমিং অভিজ্ঞতা চালু করতে পেরে রোমাঞ্চিত।

লুডো, নিনজা ডুয়ো, ফাইভ ইন অ্যা রো-এর মতন ১৯টিরও বেশি আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় গেইমের মাধ্যমে ডিএফজি গেইমাররা সারা দেশ থেকে তাদের বন্ধুদের সাথে অনলাইনে টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে এবং তাদের ওয়ান ভার্সেস ওয়ান (1v1) মোডে চ্যালেঞ্জও করতে পারবে। বাংলাদেশি গেমারদের পছন্দের তালিকা যাচাই করে আগামী দিনে কিছু ফ্যান্টাসি গেইমও অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই প্ল্যাটফর্মটিতে। দারাজ শীঘ্রই একটি রিডেম্পশন সেন্টার চালু করবে যেখানে গ্রাহকরা গেইমের উইনিং পয়েন্ট গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন পরিসেবা গ্রহণ করতে পারবে।

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভালোবাসা দিবসে ঘুরতে যাওয়ার ৫টি সেরা জায়গা 0 74

“চলো না ঘুরে আসি অজানাতে….”- না, এই আধুনিক সময়ে যখন সবাই আমরা লোকেশন ট্র্যাকার কিংবা জিপিএস এর আওতায়, তখন অজানাতে ঘুরতে যাওয়াটা অনেকটা স্বপ্নের মতোই। এই ব্যস্ত নগরী থেকে একটু স্বস্তি পেতে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে এই ভালবাসা দিবসে ঘোরাঘুরি করে আসুন দূরে কোথাও।  নিশ্চয়ই সবার মতো আপনিও চিন্তিত কোথায় যাওয়া যায় ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে(Valentines Day)-তে? আপনাকে চিন্তামুক্ত করে দিতে আমাদের আজকের আয়োজন “ভালোবাসা দিবসে ঘুরতে যাওয়ার ৫টি বিশেষ স্থান”। জেনে নিন এখনি:

১। কক্সবাজার

দেশের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার সর্বোত্তম দর্শনীয় জায়গা হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ভালোবাসার মানুষটিক নিয়ে দেখতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। আর যদি সমুদ্র দেখার পাশাপাশি কম খরচে পাওয়া যায় একটুখানি বিলাসিতা তাহলে মন্দ কি। বিভিন্ন অনলাইন শপ ও ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সব থেকে সর্বোত্তম কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ।

২। নেপাল

যারা পাহাড় ভালোবাসেন তাদের জন্য নেপাল অন্যতম। হিমালয়ের হাতছানি আর পুরোনো বৌদ্ধ সভ্যতা দুটোই আপনাকে আনন্দিত করে তুলবে। ভালোবাসার মানুষটির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন নেপালি পোশাকে। আগাম বুকিং অনেক সময় আপনার ভ্রমণকে স্বাচ্ছন্দ এবং সামর্থ্যের মধ্যে এনে দিচ্ছে খুব সহজেই। আপনার জানার সুবিধার্থে বলছি, নেপাল সরকার বাংলাদেশী নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহ করে থাকে, অর্থাৎ আগে থেকে এমব্যাসি তে ঘোরার কোন দরকার নেই।

৩। ভুটান

ভ্রমণ স্থানগুলোর মধ্যে আরেকটি বিশেষ দেশ হলো ভুটান। সর্পিল রাস্তা আর পাহাড়ে ঘেরা এই দেশটির মানুষজন ভীষণ ভালো এবং অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটিতে যেতে তেমন একটা খরচ হয় না, এমনকি বাসে করেও ঢাকা থেকে ভ্রমণ করা যায় ধাপে ধাপে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন জাদুঘর, আকর্ষনীয় পার্ক এবং ঐতিহাসিক কিছু স্থাপনা।

৪। মালদ্বীপ

রোমান্টিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে সবার প্রথমে যে নামটা মাথায় আসে টা হলো মালদ্বীপ। চারিদিক নীলাভ জলরাশি আর মাঝে এক টুকরো স্বর্গরাজ্য। কাপল হানিমুন, ফ্যামিলি ট্যুর কিংবা ভ্যালেন্টাইন্স ডে – উপলক্ষ যাই হোক না কেন ভালোবাসা উদযাপনের অন্যতম পারফেক্ট জায়গা এটি। সমুদ্রের পাড়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার এর কথা তো উল্লেখ না করাই ভাল।

৫। থাইল্যান্ড

পাতায়া কিংবা ব্যাংকক যাই হোক আপনার পছন্দ, এই কথা মানতেই হবে যে সকল ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে থাইল্যান্ড হলো বহুল আকাঙ্খিত দেশ। এখানে সমুদ্রের হাতছানি এড়ানো দায়। আর এই ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ঘোরার অন্যতম জায়গায় হতে পারে পাতায়া এবং ব্যাংকক।

তো আপনি পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন কোথায়? আপনার পছন্দ আমাদের জানিয়ে কমেন্ট করুন কমেন্ট বক্সে।

আরো পড়ুনঃ যে ৫টি ভুল হানিমুনে গিয়ে প্রত্যেক পুরুষই করেন!

পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতিঃ সহজ ৪টি উপায় মাথায় রাখুন 0 639

বৈশাখের প্রস্তুতি

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনের একটি প্রধান উৎসব- বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিন নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার জন্য সকাল থেকেই উৎসবের সাজে সাজতে থাকে গোটা দেশ। নারী-পুরুষেরা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও পাঞ্জাবী পরে উদযাপন করতে বের হয় সম্রাট আকবর প্রচলিত এই নববর্ষকে। পহেলা বৈশাখের দিনে বিভিন্ন মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করা হয় বৈশাখ মাসের এই প্রথম দিনটিকে।

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পহেলা বৈশাখ পালনের প্রস্তুতি হিসেবে খেয়াল রাখবেন যে ৪টি বিষয়
১) নতুন পোশাক
নতুন পোষাক বলতে মূলত শাড়ি ও পাঞ্জাবী কেনার দিকেই তরুণ-তরুণিদের আগ্রহ বেশি। তবে মেয়েদের সালোয়ার কামিজ বা ছেলেদের শার্ট-প্যান্টও বেশ জনপ্রিয় পোষাক বৈশাখের। এক্ষেত্রে রঙের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। উৎসবের রঙ হিসেবে লাল বা অন্য যেকোন উজ্জ্বল রঙই ভালো মানাবে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রিয়জন বা বাবা-মাকেও উপহার দিতে পারেন শাড়ি-পাঞ্জাবী। কারণ রঙে রঙে উৎসব মাতাতে নতুন পোষাক দিতে পারে চমৎকার আবহ।
২) কোথায় ঘুরতে যাবেন আগেই ঠিক করা
নববর্ষের দিনে অনেকেরই ঘোরার প্ল্যান থাকে- কখনো বন্ধুদের নিয়ে আবার কখনো প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে। রমনা বটমূল, টিএসসি, শিল্পকলা একাডেমি সহ বিভিন্ন স্থানে পহেলা বৈশাখের মেলা সহ বিভিন্ন ধরণের আয়োজন থাকে। এক্ষেত্রে আগেই ঠিক করে নিলে বৈশাখী ঘোরাফেরা হয়ে উঠতে পারে আরো উপভোগ্য। তবে ঘোরার জন্য অধিক ভীড়ের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩) ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন
পহেলা বৈশাখ পালন করবেন কিন্তু পান্তা-ইলিশ খাবেন না, তা কি হয়? নববর্ষ উপলক্ষে ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয় বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারের। যেহেতু এদিন সরকারী ছুটি, তাই বাসার সবাই মিলে একসাথে বসে এরকম একটা ভোজন উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেকগুন। এক্ষেত্রে প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের বাজার-সদাই আগেই করে রাখতে হবে। চেষ্টা করবেন- দাম ও মানের একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে।
৪) প্রিয়জনকে উপহার
উপহার ছাড়া কোনো উৎসবই যেন ঠিক জমে না। পহেলা বৈশাখও এর ব্যতিক্রম না। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে প্রিয় মানুষটির মুখে হাসি ফোটানো। আর এই কাজটি পৃথিবীতে উপহারের চেয়ে ভালো কেউ পারে না। তাই স্পেশাল মানুষটির জন্য একটি চমৎকার উপহার আপনার দিনটিকেও করে তুলতে পারে অনন্য।

ভুরি ভুরি পহেলা বৈশাখ পালনের টিপস নয়, বরং এই কয়টি বিষয় খেয়াল রাখলেই আপনি পেতে পারেন দারুণ একটি পহেলা বৈশাখ। কিন্তু আমরা অনেকেই কোথায় থেকে বৈশাখের এইসব কেনাকাটা করবো তা নিয়ে সংশয়ে থাকি- এক্ষেত্রে অনলাইনে পহেলা বৈশাখ শপিং হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি সমাধান। কারণ এখন ঘরে বসেই পহেলা বৈশাখের সেরা কেনাকাটা হচ্ছে আরো সহজে। শুভ নববর্ষ ১৪২৮!