১০ মিনিট এই উপায়ে দড়ি লাফালেই কমবে মেদ 0 2230

পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম

অফিস আদালতে প্রচুর কাজের চাপ, খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম, অধিক মাত্রায় জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে অনেকের শরীরে জমছে মেদ। অতিরিক্ত মেদ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। যেমনঃ হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস ইত্যাদি। পেটের মেদ কমাতে দড়ি লাফ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুশীলন। প্রতিদিন ১০ মিনিট দড়ি লাফালেই কমবে শরীরের মেদ।

পেটের মেদ কমাতে দড়ি লাফ

ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটু সময় করে নিয়ম করে লাফ দড়ি বা স্কিপিং(Skipping) নিয়ে ঘাম ঝরালেই শরীরে বাড়তি মেদ কমে যাবে অনেকটাই। একটানা ৩৫ মিনিট হাঁটা বা বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে জগিং বা দৌড়ানোয় যতটা মেদ ঝরে তার চেয়েও বেশি মেদ ঝরে মিনিট ১০ লাফালে। আসলে পেটের মেদ কমাতে দড়ি লাফ একটি সেরা ব্যায়াম।

তবে প্রথম দিকে ১০ মিনিট একটানা লাফাতে না পারলেও ক্ষতি নেই। সপ্তাহ দুয়েক পর ধীরে ধীরে দড়ি লাফের সময় বাড়ান। দড়ি লাফের নিয়ম জেনে স্কিপিং করতে হয়। স্কিপিংয়ের কতগুলো নির্দিষ্ট উপায় থাকে, যা জানলে তা অভ্যাস করা ও মেদ ঝরানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়। আর দড়ি লাফের নিয়ম জেনে মেদ বা চর্বি ঝড়ানো কোনো বিষয়ই না।

দড়ি লাফ
স্কিপিং

বেসিক জাম্প

লাফদড়িতে সাধারণত এ ভাবেই লাফানো অভ্যাস করেন সকালে। লাফদড়ি দু’হাতে নিয়ে এমন ভাবে লাফান, যাতে দড়িটি দু’পায়ের তলা দিয়ে গিয়ে মাথার উপর দিয়ে ঘুরে আসে।

অল্টারনেট ফুট স্টেপ

এ ক্ষেত্রে দু’পা জোড়া করে একসঙ্গে লাফানো যাবে না। এক বার ডান পায়ের নীচ দিয়ে দড়ি নিয়ে যেতে হবে। আর এক বার বাঁ পা দিয়ে একই পদ্ধতিতে লাফাতে হবে। দড়ির গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে পায়ের ছন্দ।

বক্সার স্টেপ

অল্টারনেট ফুট স্টেপের মতোই প্রত্যেক লাফে পা বদলাতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সেই লাফের উচ্চতাও বেশি হবে। আগে-পিছে দু’পায়ের মাঝে ফাঁক থাকবে বেশি। এই লাফ খুব দ্রুতলয়ে হয় না।

দড়ি লাফের নিয়ম
বক্সার স্টেপ

জাম্প রোপ ক্রিসক্রস

দু’হাতে লাফদড়ি নিয়ে এক বার স্বাভাবিকভাবে পায়ের তলা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পরের বার হাত ক্রশ করে সেই দড়ি পায়ের তলা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই লাফ একেবারেই সহজ নয়, এর জন্য অভ্যাস জরুরি।

আরও পড়ুনঃ ৪ টি চোখের ব্যায়াম ভাল রাখবে আপনার চোখ

ব্যাকওয়ার্ড জাম্পিং

এই ধরণের দড়ি লাফের বেলায় দড়ি মাথার উপর দিক থেকে পায়ের নীচে না এনে পায়ের নীচ থেকে ঘুরিয়ে মাথার উপরে আনতে হবে।

এছাড়াও আপনি যদি ছেলেদের কিংবা মেয়েদের স্কিপিং(skipping) বা দড়ি লাফের উপকারিতা(benefits) জেনে দড়ি লাফ শুরু করেন তবে আপনি মেদ কমানোর সাথে সাথে স্বাস্থ্যবানও হতে পারবেন।

দড়ি লাফের ক্ষতিকর দিক বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

দড়ি লাফের উপকারিতা যেমন অনেক, ঠিক তেমনি দাড়ি লাফের কিছু ক্ষতিকর দিক বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও আছে। সময় বা পরিস্থিতি ভেদে একটু সতর্ক হওয়াও প্রয়োজন। অসুস্থ শরীরে, কিংবা গর্ভাবস্থায় মেয়েদের জন্য দড়ি লাফের মত শারিরীক অনুশীলন পরিহার করা উত্তম। এ সময় স্কিপিং বা দড়িলাফ দিলে মেয়েদের জরায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।

সঠিক উপায়ে দড়ি লাফ দিয়ে থাকুন স্বাস্থ্যবান, জীবন যাপন হোন স্বাচ্ছন্দ্যময় আর মনের মত।

Summary
Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডায়াবেটিক খাদ্যাভ্যাসের ৪ টি প্রচলিত ভুল ধারণা 2 296

wrong idea of food habit

ডায়াবেটিস হলে শুরুতেই খাবারদাবারের ব্যাপারে আশপাশ থেকে অনেকেই সচেতন করতে থাকেন যেন এই রোগে আক্রান্ত হলে সুস্বাদু সব খাবার থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে কিন্তু ব্যাপারটি সেরকম নয়। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কিছু প্রচলিত ধারণা আছে যার অধিকাংশই ভুল।

চিনি ডায়াবেটিসের কারণ: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে চিনি ডায়াবেটিসের কারণ নয়। তবে বেশি চিনিযুক্ত খাবারে সাধারণত ক্যালরি থাকে যা ওজন বাড়িয়ে তুলে ঝুঁকির কারণ হতে পারে তাই চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

<<যেসব খাবার খেলেও ওজন বাড়ে না>>

বিশেষ খাবার প্রয়োজনঃ সবার মত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সুষম খাদ্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হওয়া উচিত। তাদের জন্য সব সময় পৃথক খাবার প্রস্তুত করার প্রয়োজন নেই। সুষম খাবার হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য দানা, চর্বিযুক্ত প্রোটিন ইত্যাদি। এগুলো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। লো-গ্লাইসেমিকযুক্ত খাবার খেতে হবে। এগুলো শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

<<যেসব সবজী খেলে মেদ কমবেই>>

প্রোটিন রক্তে সুগার বাড়ায় নাঃ প্রোটিন একটি অত্যন্ত তৃপ্তিকারী ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট, যা আপনাকে খাওয়া-দাওয়ায় পরিপূর্ণ বোধ করাতে সহায়তা করে। এমনকি উচ্চ প্রোটিন ডায়েট ওজন কমাতে পারে। তবে পেশী বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত না হলে ক্যালরিতে রূপান্তরিত হয়, যা ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি প্রোটিন খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন।

<<রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরী>>

শর্করা একেবারে বাদ দেয়াঃ না খেয়ে থাকা ডায়াবেটিক রোগীদের হাইপো-গ্লাইসেমিয়ার একটি লক্ষণ। শর্করা আপনার বয়স, ওজন এবং শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। এ জাতীয় খাবারের জন্য জটিল শর্করার পাশাপাশি বেশি আঁশযুক্ত খাবারের দিকে মনোযোগ দিন।

পরিশেষে, সঠিক তথ্য জেনে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকুন, যাপন করুন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন।

আরো পড়ুনঃ মেদ কমাতে দড়ি লাফ

জুতা-মোজা পরলেই কি পায়ে গন্ধ করে? 0 1398

পায়ের দুর্গন্ধে কী করবেন

গরমকালে ঘামের কারণে জুতা-মোজা পরলেই পায়ে গন্ধ হয়। অনেকে আবার শীতকালেও এই সমস্যার মুখোমুখি হোন। শীতকালে পায়ে দুর্গন্ধ হলে কোথাও গেলে জুতা খুলতে সবচেয়ে বেশি বিব্রতবোধ করেন। কিন্তু সামান্য টিপস অনুসরণ করলে মোজার অস্বস্তিকর দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন এক নিমিষেই।

কমলার খোসাঃ জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে জুতার ভেতরে কয়েকটি কমলার খোসা সারারাত রেখে দিন। কমলার খোসা সমস্ত দুর্গন্ধ শুষে নিবে। জুতা ব্যবহারের আগে খোসাগুলো ফেলে ব্যবহার করুন।

<< Socks Bangladesh এর মোজা – যে মোজা ব্যবহার করলে পা গন্ধ করবে না একদম >>

ভিনেগারঃ ভিনেগার ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। সবচেয়ে ভালো কাজ করে আপেল সাইডার ভিনেগার। একটি পাএে ৬/৮ কাপ গরম পানি নিয়ে তাতে ১/২ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণে পা ভিজিয়ে রাখুন ১০/১৫ মিনিট। এরপর সাবান দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন যেন পায়ে ভিনেগারের গন্ধ না থাকে।

বেকিং সোডাঃ জুতার মধ্যে সামান্য বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। পরদিন ভেতরের অংশ মুছে পরিষ্কার করে জুতা পরুন। দুর্গন্ধ থাকবে না। তবে চামড়ার জুতায় বারবার বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। পুরনো মোজায় ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিয়ে গিঁট বেঁধে জুতায় রেখে দিতে পারেন। পরদিন মোজা সরিয়ে জুতা পরুন।

লবণঃ স্নিকারস দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে মাঝে মাঝে সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন। জুতার দুর্গন্ধ দূর হবে।

লবঙ্গঃ কয়েকটি লবঙ্গ জুতায় ফেলে রাখলেও উপকার পাবেন।

টি ব্যাগঃ ফুটন্ত পানিতে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠান্ডা হলে জুতার মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর টি ব্যাগ সরিয়ে জুতার ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে জুতায় থাকা ব্যাকটেরিয়া।

বেবি পাউডারঃ জুতা পরার আগে পায়ে বেবি পাউডার ব্যবহার করুন। এতেও জুতায় দুর্গন্ধ হবে না।