ফ্রাইড রাইস – রেসিপি ২ – বানানোর নিয়ম 0 222

ফ্রাইড রাইস রেসিপি

ফ্রাইড রাইস

ফ্রাইড রাইস একটি জনপ্রিয় ও বহুমুখী খাবার যা বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায়। এটি বিভিন্ন ধরণের মাংস, ডিম, ও সবজি সহ নানান উপকরণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এখানে কিছু সাধারণ ফ্রাইড রাইস রেসিপি নিয়ে আলোচনা করা হল:

ঝরঝরে ফ্রাইড রাইস রেসিপি

ঝরঝরে ফ্রাইড রাইস

  1. রান্না করা ভাত – ২ কাপ
  2. সয়াসস – ২ টেবিল চামচ
  3. লবণ – স্বাদমতো
  4. চিনি – ১/২ চা চামচ
  5. তেল – পরিমাণ মতো
  6. পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
  7. কাঁচা মরিচ কুচি – ২ টেবিল চামচ

ঝরঝরে ফ্রাইড রাইস তৈরির জন্য ভাতকে আগে থেকে রান্না করে ঠাণ্ডা করে নেওয়া ভালো। এটি ভাতকে ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে। ভাতের সঙ্গে সয়াসস, সামান্য চিনি, ও লবণ মিশিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।

চিকেন ফ্রাইড রাইস

চিকেন ফ্রাইড রাইস উপকরণ

  1. রান্না করা ভাত – ২ কাপ
  2. চিকেন টুকরা – ১ কাপ
  3. সয়াসস – ২ টেবিল চামচ
  4. আদা ও রসুনের পেস্ট – ১ টেবিল চামচ
  5. কাঁচা মরিচ – স্বাদমতো
  6. তেল – পরিমাণ মতো
  7. লবণ – স্বাদমতো

চিকেন ফ্রাইড রাইসের জন্য চিকেন টুকরা সয়া সস, আদা, রসুনের পেস্ট, ও মরিচ দিয়ে মেরিনেট করে রাখতে হবে। তারপর তা ভাজা ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রাই করতে হবে।

এগ ফ্রাইড রাইস

এগ ফ্রাইড রাইস উপকরণ

  1. রান্না করা ভাত – ২ কাপ
  2. ডিম – ২টি
  3. পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
  4. ক্যাপসিকাম কুচি – ১/২ কাপ
  5. সয়াসস – ২ টেবিল চামচ
  6. লবণ – স্বাদমতো
  7. তেল – পরিমাণ মতো

এগ ফ্রাইড রাইসের জন্য ডিম ফেটে ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, ও সবজি মিশিয়ে ফ্রাই করতে হবে।

চাইনিজ ফ্রাইড রাইস রেসিপি

চাইনিজ ফ্রাইড রাইস উপকরণ

  1. রান্না করা ভাত – ২ কাপ
  2. বিভিন্ন সবজি (ক্যারট, বিনস, মটরশুটি) – ১ কাপ
  3. চাইনিজ সস – ২ টেবিল চামচ
  4. লবণ – স্বাদমতো
  5. স্প্রিং অনিয়ন – ১/২ কাপ
  6. তেল – পরিমাণ মতো

চাইনিজ ফ্রাইড রাইস তৈরির জন্য প্রচুর সবজি ও চাইনিজ সস ব্যবহার করতে হবে। এতে ক্যারট, বিনস, মটরশুটি, ও স্প্রিং অনিয়ন যোগ করা হয়।

ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস

ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস উপকরণ

  1. রান্না করা ভাত – ২ কাপ
  2. বিভিন্ন সবজি (গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি, মাশরুম) – ১ কাপ
  3. সয়াসস – ২ টেবিল চামচ
  4. লবণ – স্বাদমতো
  5. তেল – পরিমাণ মতো

ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইসের জন্য নানা ধরণের সবজি যেমন গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি, ও মাশরুম ব্যবহার করা হয়। এগুলো ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রাই করা হয়।

বাংলায় ফ্রাইড রাইস রেসিপি

বাংলা স্টাইলের ফ্রাইড রাইস তৈরির জন্য প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন, ও কাঁচা মরিচ ভাজা হয়। এরপর ভাত, সয়াসস, ও লবণ যোগ করে ফ্রাই করা হয়।

এই রেসিপিগুলি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও উপাদান নির্ভর করে। প্রতিটি রেসিপি নিজস্ব অনন্য স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে আসে এবং এটি প্রতিটি বিশেষ উপলক্ষে বা দৈনন্দিন খাবার হিসেবে উপযোগী।

আরো রেসিপি দেখুনঃ জলপাই আচার রেসিপি

Summary
recipe image
Recipe Name
ফ্রাইড রাইস
Author Name
Published On
Preparation Time
Cook Time
Total Time
Average Rating
51star1star1star1star1star Based on 1 Review(s)
Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ধুমপায়ীর ঠোটের কালো দাগ দূর করার উপায় 0 219

ঠোটের কালো দাগ দূর করার উপায়

ধূমপান এটি বদঅভ্যাস। ধূমপানের অভ্যাসের ফলে শ্বাসনালী বা ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সাথে সাথে আরো নানা রকম জটিল রোগ শরীরে বাসা বাধে। মূলত ধূমপানের ফলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। যারা ধূমপান করেন তাদের বেশির ভাগেরই ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ে যায়। যার ফলে ধুমপায়ীরা ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় খুঁজতে থাকেন।

ঠোটের কালো দাগ দূর করার উপায়

ধুমপায়ীদের মধ্যে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় জানার প্রবণতা আছে। সেই সাথে যেকোন মূল্যে নিজেদের আকর্ষনীয় করে তুলতে চান প্রতিনিয়ত। কালো দাগ দূর করে ছেলেদের/ মেয়েদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায় জেনে নেই এক নজরেঃ

লেবু-চিনি

লেবুর পাতলা একটি টুকরোর উপরে খানিকটা চিনি ছড়িয়ে দিয়ে রোজ ঠোঁটে মালিশ করুন। চিনি এখানে স্ক্র্যাবের কাজ করবে। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে ঘষে তুলে দিতে সাহায্য করে। আর লেবু ঠোঁটের কালো হয়ে যাওয়া চামড়াকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটা কালো ঠোঁট গোলাপি করার সহজ উপায়।

গ্লিসারিনলেবুর রস

লেবুর রসের সঙ্গে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত দুবার করে ঠোঁটে মাখুন। দিন দশেকের মধ্যেই উপকার চোখে পড়বে। এটা ঠোঁট কালো দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম।

মধু-চিনি-বাদাম তেল

মধু, চিনি আর বাদামের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার কোমলতাও বাড়াবে।

টমেটোর রস

প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে টমেটোর রস ঠোঁটে মাখুন। এতে আপনার ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। কমে যাবে ঠোটের কালচে দাগ এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই।

চিনি-মধু

মধুর আর চিনির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিনিট দশেক আলতোভাবে ঠোঁটে মাখুন। এই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

দুধ-টক দই

ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাকটিক অ্যাসিড খুবই উপকারী। দুধ বা টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড। দুধ বা টক দই তুলোয় নিয়ে প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে ঠোঁটে মালিশ করুন। এটি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে ঘষে তুলে দিতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।

প্রাকৃতিকভাবেই ঠোটের কালো দাগ দূর করার উপায় বের করা উচিত। ঠোঁট গোলাপি করার ঔষধ, ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম কিংবা ঠোঁট গোলাপি করার লিপবাম সহ অনেক কিছুই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক ভাবেই চিকিৎসা নেয়ার দিকেই ডাক্তারদের পরামর্শ থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।

আরো পড়ুনঃ অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির ঘরোয়া সমাধান

চা খাওয়ার উপকারিতা – এক কাপ সুস্থতার পানীয় 0 237

চা খাওয়ার উপকারিতা

চা, বিশ্বব্যাপী প্রিয় এক পানীয়, শুধু তার স্বাদের জন্যই নয়, বরং এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা দ্বারা বিখ্যাত। এই পোস্টে, আমরা চা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস
চা বিশেষ করে সবুজ চা ও কালো চা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের প্রভাব হ্রাস করে।

২. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
চা খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদস্পন্দনের সামঞ্জস্য বজায় রাখে।

৩. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি
চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও থিয়ানিন মানসিক সতেজতা ও ফোকাস বাড়ায়। এটি মানসিক ক্লান্তি কমাতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. ওজন হ্রাসে সাহায্যকারী
বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পান ওজন হ্রাসে সাহায্য করে। বিশেষ করে সবুজ চা মেটাবলিজমে উন্নতি ঘটায় এবং ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

৫. পাচন প্রক্রিয়া উন্নতি
চা পাচন তন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নতি সাহায্য করে। এর প্রাকৃতিক উপাদান পেটের সমস্যা যেমন অম্বল ও বদহজম নিরাময়ে সাহায্য করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
চায়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি সর্দি-কাশি ও অন্যান্য সাধারণ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

চা খাওয়ার অপকারিতা – সাবধানতা ও সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা

চা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি পানীয়, কিন্তু অতিরিক্ত বা অনিয়মিত ভাবে চা পানের কিছু অপকারিতা রয়েছে। চা পানের অপকারিতা সম্পর্কে জানা এবং এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সঠিক মাত্রা ও সঠিক সময়ে চা পান করলে, এর অপকারিতা এড়িয়ে চলা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সচেতনতা ও সাবধানতা অপরিহার্য।

১. অতিরিক্ত ক্যাফেইনের সমস্যা

চা, বিশেষ করে কালো চা ও সবুজ চা, ক্যাফেইন সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ হৃদস্পন্দন বাড়াতে, অনিদ্রা, মাথা ব্যথা, এবং চিন্তা-উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।

২. হজমের সমস্যা

খালি পেটে চা পান অম্বল ও পেটের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। চায়ের ট্যানিন অম্লীয়তা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে।

৩. লৌহ শোষণে বাধা

চা খাওয়ার ফলে লৌহের শোষণে বাধা দেয়, বিশেষ করে যদি খাবারের সঙ্গে বা খাবারের পরে চা পান করা হয়। এটি আয়রন ঘাটতির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৪. হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

কিছু গবেষণা বলছে যে অতিরিক্ত চা পান হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে, যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার

অনেকে চায়ে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশান, যা ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৬. দাঁতের উপর প্রভাব

চা পান দাঁতের উপর দাগ ফেলতে পারে এবং এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি দাঁতের এনামেল ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।

সংক্ষেপ

চা খাওয়ার উপকারিতা অসীম। এটি শুধু এক কাপ পানীয় নয়, বরং এক কাপ সুস্থতা। তাই, আসুন আমরা এই অসাধারণ পানীয়কে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিই এবং এর উপকারিতাগুলি উপভোগ করি।

এছাড়া বিশেষভাবে লাল চা, চিনি ছাড়া চা, রঙ চা, লিকার চা, দুধ চা সহ নানাবিধ চা বাংলাদেশের মানুষ পান করে থাকে। সবাই আসলে চা খাবার আগে চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিবেচনা করে চা পান করেন না। এটা অনেকটা পছন্দের উপর নির্ভর করে।