উইন্ডোজ ৭ থেকে উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড করুন 0 1209

উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করার নিয়ম

মাইক্রোসফটের ঘোষণা অনুযায়ী, গত ১৪ জানুয়ারির পর উইন্ডোজ ৭ আর কোনো আপডেট পাচ্ছে না। মূলত উইন্ডোজ এক্সপির পর উইন্ডোজের ৭ সংস্করণটি বন্ধ করে দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সফটওয়্যার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। উইন্ডোজ ৭ পিসি কোনো ধরনের সফটওয়্যার আপডেট না পেলে নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি উইন্ডোজের সর্বশেষ ফিচার ব্যবহারের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হতে হবে। তবে চাইলে উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীরা তাদের পিসিকে উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করে নিতে পারবেন। এজন্য আপনার এমন কনফিগারেশনের পিসি থাকতে হবে যা উইন্ডোজ ১০ সমর্থন করবে। উইন্ডোজ ৭ ব্যবহৃত পিসিটি যদি উইন্ডোজ ১০ সমর্থন করে, তবে কোনো ডাটা বা ফাইল হারানো ছাড়াই আপগ্রেড করে নেওয়া যাবে। উইন্ডোজ ১০ একটি ‘লিগ্যাসি মোড’ রেখেছে যা চলমান সব পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনকে নতুন সিস্টেমে সচল রাখবে। উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করে নিলে পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপডেট পেতে শুরু করবে।

পিসিতে কি উইন্ডোজ ১০ চলবে?

প্রথমেই দেখতে হবে আপনার উইন্ডোজ ৭ চালিত কম্পিউটারটি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম গ্রহণে সক্ষম কিনা। যেসব পিসি উইন্ডোজ ৭ গ্রহণ করতে সক্ষম, তার বেশিরভাগই উইন্ডোজ ১০ সমর্থন করে। তবে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করতে ন্যূনতম কনফিগার যা হতে পারে- কমপক্ষে ১ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর, র‌্যাম হতে হবে ১ গিগাবাইট (৩২ বিটের জন্য) এবং ২ গিগাবাইট (৬৪ বিটের জন্য), হার্ডড্রাইভ ন্যূনতম ৩২ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড ডিরেক্টএক্স বা ডব্লিউডিডিএম ১.০ ড্রাইভারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, ডিসপ্লে ৮০০ বাই ৬০০ পিক্সেল। যদি পিসির কনফিগার সমর্থন করেন তবে ৬৪ বিট বেছে নেওয়াটাই ভালো হবে। এতে বেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করার পাশাপাশি অধিক র‌্যাম থাকার সুবিধাও পুরোপুরি উপভোগ করা যাবে। উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করতে হার্ডওয়্যার চাহিদার সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। ইনস্টলার আপনাকে ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করার সুবিধাও দেবে।

উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল

অফিসিয়ালভাবে মাইক্রোসফটের অনলাইন স্টোর থেকে উইন্ডোজ ১০ পেতে পারেন। নতুন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেম গ্রহণের আগে প্রয়োজনীয় সব ডাটা সংরক্ষণ রাখা জরুরি। আর ইনস্টল হয়ে গেলে উইন্ডোজ ১০-এ অনায়াসে উপভোগ করতে পারবেন সব ফিচার।

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

উবার ইটস – বিদায়! 0 1072

উবার ইটস

তবে যথারীতি চালু থাকছে উবার রাইডস

আগামী ২ জুন থেকে বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উবার ইটস সেবা কার্যক্রম। এর মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টের খাবার অর্ডার নেওয়া ও সবরাহ করা হতো। তবে উবার রাইডস বা পরিবহন সেবা যথারীতি চালু থাকবে। মঙ্গলবার উবারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, যদিও উবার কর্তৃপক্ষ দুঃখিত যে- উবার ইটস বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কিন্তু রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে এদেশে কমিউনিটিকে সেবা দিতে উবার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কমিউনিটির কাছে আমরা রাইডসের মাধ্যমে সেবা যথারীতি সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক মাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে উবারের বৈশ্বিক ব্যবসায়। গত সপ্তাহে মোট কর্মীর প্রায় ১৪ শতাংশ ছাঁটাই করেছে এ কোম্পানি। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ উবার কর্মী। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী ৪৫টি অফিস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে উবার। সব মিলিয়ে ব্যবসার এক চতুর্থাংশ ছেঁটে ফেলছে রাইড শেয়ারিংয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এই কোম্পানি।

হোয়াটসঅ্যাপে যে ৭ ভুল এড়িয়ে চলবেন 0 1206

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম

বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।

ফোন নম্বরের মাধ্যমেই সহজেই আমরা যোগাযোগ রাখতে পারি এই অ্যাপে। আবার এর মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার মানুষের সাথে ম্যাসেজে, ভিডিও কল, ছবির আদান-প্রদান ইত্যাদি হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু ভুলের জন্যই আমরা অনেক সময় নানান ঝামেলাই পড়ে যায়।

তাই চুরি, হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে হোয়াটসঅ্যাপে এই ৭টি ভুল এড়িয়ে চললে তবেই প্রতিকার মিলবে। এগুলো হলো- 

১. আমরা মাঝে মাঝেই আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ফটো পরিবর্তন করে থাকি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে এর থেকে হতে পারে নানান বিপদ। কারণ আমাদের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা প্রত্যেকেই আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ফটো দেখতে পান। এমনকি এর থেকে অনেক রকম তথ্য় পেয়ে যান অনেকে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসিতে থাকা তিনটি অপশনের (এভরিওয়ান, মাই কনট্যাক্ট, নোবডি) মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।

২. আমাদের ফোনের কনট্যাক্ট লিস্ট থেকে কিছু অপ্রাসঙ্গিক নম্বর ডিলিট করে দিতে হবে। যাদের সাথে অনের আগে পরিচয় হলেও এখন আর কোনও যোগাযোগ নেই। এর ফলে বিপদ অনেকটা কম হতে পারে। কারণ বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ মানুষই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত।

৩. হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার আগে এই অ্যাপের সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসিতে সব কিছু মাই কনট্যাক্ট করে নিন। এর ফলে আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনার পরিবারের কাউকে বা বন্ধুকে যাই কিছু দেবেন, তা শুধু সেই দেখতে পাবে, অন্য কেউ না।

৪. অনেক সময়ই হয়ে যে আমরা না চাইলেও আমাদের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা কিছু মানুষ হঠাৎ করেই কোনো একটি গ্রুপে নিয়ে নেয়। এর জন্য প্রাইভেসিতে থাকা মাই কনট্যাক্ট এক্সসেপ্ট ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে যে কেউ চাইলেই আপনাকে গ্রুপে নিতে পারবে না।

৫. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘গুড মর্নিং’ ধরনের কিছু ছবি সহ ম্যাসেজে আসতে থাকে। প্রয়োজনীয় ছবি ছাড়া অন্যান্য কোনও ছবি নিজের ফোনে রাখার প্রয়োজন নেই।

৬. আমরা মাঝে মাঝেই হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট ব্যাকআপ করি। যদি কোনও চ্যাট আপনার প্রয়োজন হয়ে তাহলে সেটি আলাদা ভাবে সেভ করে রাখুন। কারণ অযথা চ্যাট ব্য়াকআপের ফলে বাড়তে পারে নানান সমস্যা।

৭. হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এমন কোনো খবর ছড়াবেন না যার ফলে সমাজের কোনও ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের ম্যাসেজের ফলে আপনি গ্রেপ্তারও হতে পারেন। সূত্র: জিনিউজ