এড়িয়ে চলা উচিত যেসব বন্ধুদের 0 1187

খারাপ বন্ধু থেকে দূরে থাকুন

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, আড্ডা, খেলার সঙ্গী, অফিসে এমনকী রাস্তাঘাটে পরিচয়ের পরও অনেকে বন্ধু হয়ে যায়। তবে সব বন্ধুই কি সত্যিকারের বন্ধু হন? 

বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে যান। কেউ বা শত্রুর চেয়েও খারাপ হন। বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবসময় একরকম থাকে না। ব্যস্ততা বা জীবনের নিয়মে দিনে দিনে তা পরিবর্তিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্পর্ক যদি বিষাক্ত হয়ে ওঠে তখন তা মেনে নেওয়া অনেকসময় কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে সম্পর্কে তিক্ততা আসার আগে কিছু লক্ষণ দেখ ক্ষতিকর বন্ধুকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যেমন –

কথা না রাখা বন্ধু : কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা, গেট টুগেদার বা পিকনিকে উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিলেও শেষ মুহূর্তে কথা রাখতে পারেন না কেউ কেউ। এরা বেশিরভাগ সময় বন্ধুর সময়ের মূল্য দেন না। বারবার একই ঘটনা ঘটলে এমন বন্ধু থেকে দূরে থাকা উচিত। সুবিধাবাদী বন্ধু : অনেকেরই বন্ধু তালিকায় এমন কেউ কেউ আছেন যারা স্বার্থের জন্যই বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। দেখা যায়, এদের নিয়ে কোথাও খেতে বসলে সব সময় খাবারের বিল আপনাকেই দিতে হচ্ছে। এমন বন্ধুর কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

হতাশ বন্ধু : সবার জীবনেই কোনও না কোনও সময় হতাশা বা খারাপ সময় আসে। কিন্তু অনেকে আছেন পরিস্থিতি পরিবর্তন করার চেষ্টা না করে সব সময় নিজের ভাগ্যকে দোষ দেন। এ ধরনের বন্ধুর সঙ্গে বেশিদিন মিশলে  আপনার মধ্যেও নেতিবাচক ভাব চলে আসবে। এ কারণে এমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা উচিত। 

প্রতিযোগী বন্ধু : এমন অনেকেই থাকেন যারা সবসময় বন্ধুর চেয়ে জীবনে এগিয়ে থাকাতে প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে থাকেন। এ জন্য তারা প্রয়োজনে অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করেন না। এ ধরনের বন্ধু থেকেও দূর থাকা উচিত। 

নিয়ন্ত্রক বন্ধু : কিছু বন্ধু আছেন, যারা সবসময় আপনাকে বা অন্য বন্ধুদের চিন্তাধারা, সিদ্ধান্ত এমনকী কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এরা অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে বা দিক নির্দেশনা দিতেই পছন্দ করেন। একটা পর্যায়ে এমন বন্ধুরা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও আপনাকে কোনও কাজ করতে বাধ্য করবেন। তাই এসব বন্ধুর কাছ থেকে দূরে থাকুন।

পরচর্চাকারী বন্ধু : এমন অনেক বন্ধু আছেন যারা সব সময় অন্যদের নিয়ে সমালোচনা বা পরচর্চা করতে পছন্দ করেন। এমনকী অন্যদের নিয়ে গল্প সাজাতেও তাদের জুড়ি নেই। এদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।

অযাচিত বন্ধু : কিছু মানুষ আছেন যারা আপনার সত্যিকারের বন্ধু না হলেও কথাবার্তায় বা আচরণে আপনার কাছের বন্ধু হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। সাধারণত কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এমনটা করেন। নিজের স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না। 

আবেগতাড়িত বন্ধু : কিছু বন্ধু আছেন যারা মানসিকভাবে আপনাকে সব সময় আঁকড়ে রাখতে চায়। তাই আপনার সঙ্গী বা অন্য কোনও বন্ধুর সঙ্গে আপনাকে দেখলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এ ধরনের আবেগতাড়িত বন্ধুর কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

আরো পড়ুনঃ এই ৫ প্রকার সবজিতে কমবে শরীরের ওজন, ফিট থাকবে শরীর

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জলপাই আচার – রেসিপি ১ – বানানোর নিয়ম 0 4151

জলপাই আচার

জলপাই আচার শব্দটা শোনার সাথে সাথেই ছেলে বুড়ো সবারই আসে জিভে জল। আজ তবে জলপাই আচার তো বানাবোই, তবে তার আগে জেনে নেই জলপাই সম্পর্কে কিছু কথা। জলপাই (Jolpai) একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় টক ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Elaeocarpus serratus। এটি সিলন অলিভ (Ceylon olive) নামেও পরিচিত। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ, ইন্দোচীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে জলপাই বেশি হয়ে থাকে। জলপাই থেকে তৈরিকৃত আচার বেশ জনপ্রিয়, তবে জলপাই থেকে তৈরিকৃত জলপাই তেল এর ঔষধি গুনাগুন বেশ। এবার, চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে সহজে স্বাস্থ্যসম্মত জলপাই আচার তৈরি করা যায়(jolpai achar recipe) ঘরোয়া ভাবে।

জলপাই আচার বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ :

  • কাঁচা জলপাই – ১ কেজি
  • আস্ত রসুন – ৩ টি ( কুচি কুচি করা )
  • আস্ত লাল মরিচ – ১০ টি
  • তেজ পাতা – ৩ টি
  • এলাচ – ৪ টি
  • দারুচিনি – ২ টি
  • পাঁচ ফোড়ন  – ৩ টেবিল চামচ
  • সরিষা বাটা – ৩ টেবিল চামচ
  • লাল মরিচের গুঁড়া -১ চা চামচ
  • হলুদের গুঁড়া -২ চা চামচ
  • ভিনেগার – ১ কাপ
  • চিনি – ২ কাপ বা আপনার স্বাদ মত 
  • সরিষার তেল – ১/২ লিটার 
  • লবণ – পরিমান মত

জলপাই আচার বানানোর পদ্ধতি :

  • কাঁচা জলপাই গুলো ধুয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে জলপাই গুলা ভর্তা করুন।  
  • ভর্তা করা জলপাই এ  লবণ, হলুদের গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া, সরিষা  বাটা ও ৪ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন ও সূর্যের আলো বা রোদে ৪ ঘণ্টা রাখুন। 
  • একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে আস্ত লাল মরিচ, তেজপাতা, রসুন, পাঁচ ফোড়ন, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ৪-৫ সেকেন্ড ভাজুন। তারপর তাতে জলপাই দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন। চিনি ও লবণ  দিয়ে নেড়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।
  • এরপর ভিনেগার দিয়ে অল্প আঁচে আরো ৫ মিনিট রান্না করুন।   
  • তৈরী হয়ে গেল জলপাই এর আচার। খানিকটা ঠাণ্ডা হলে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।

পরিশেষে, এভাবে বেশ সহজ উপায়ে ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার ও সুস্বাদু জিভে জল আনা জলপাই আচার। আর ঘরে বসে যখন কিছু বানাবেন তা হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন। আর এভাবেই, ছোট কিংবা বড়, পরিবারের সবাই মিলে খেতে পারবেন মজার এই জলপাই রেসিপি(jolpai achar recipe)।

আরো পড়ুনঃ তালমাখনা খাওয়ার উপকারিতাফ্রাইড রাইস রেসিপি

Summary
recipe image
Recipe Name
জলপাই আচার
Author Name
Published On
Preparation Time
Cook Time
Total Time
Average Rating
51star1star1star1star1star Based on 4 Review(s)

চা খাওয়ার উপকারিতা – এক কাপ সুস্থতার পানীয় 0 200

চা খাওয়ার উপকারিতা

চা, বিশ্বব্যাপী প্রিয় এক পানীয়, শুধু তার স্বাদের জন্যই নয়, বরং এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা দ্বারা বিখ্যাত। এই পোস্টে, আমরা চা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস
চা বিশেষ করে সবুজ চা ও কালো চা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের প্রভাব হ্রাস করে।

২. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
চা খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদস্পন্দনের সামঞ্জস্য বজায় রাখে।

৩. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি
চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও থিয়ানিন মানসিক সতেজতা ও ফোকাস বাড়ায়। এটি মানসিক ক্লান্তি কমাতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. ওজন হ্রাসে সাহায্যকারী
বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পান ওজন হ্রাসে সাহায্য করে। বিশেষ করে সবুজ চা মেটাবলিজমে উন্নতি ঘটায় এবং ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

৫. পাচন প্রক্রিয়া উন্নতি
চা পাচন তন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নতি সাহায্য করে। এর প্রাকৃতিক উপাদান পেটের সমস্যা যেমন অম্বল ও বদহজম নিরাময়ে সাহায্য করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
চায়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি সর্দি-কাশি ও অন্যান্য সাধারণ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

চা খাওয়ার অপকারিতা – সাবধানতা ও সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা

চা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি পানীয়, কিন্তু অতিরিক্ত বা অনিয়মিত ভাবে চা পানের কিছু অপকারিতা রয়েছে। চা পানের অপকারিতা সম্পর্কে জানা এবং এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সঠিক মাত্রা ও সঠিক সময়ে চা পান করলে, এর অপকারিতা এড়িয়ে চলা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সচেতনতা ও সাবধানতা অপরিহার্য।

১. অতিরিক্ত ক্যাফেইনের সমস্যা

চা, বিশেষ করে কালো চা ও সবুজ চা, ক্যাফেইন সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ হৃদস্পন্দন বাড়াতে, অনিদ্রা, মাথা ব্যথা, এবং চিন্তা-উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।

২. হজমের সমস্যা

খালি পেটে চা পান অম্বল ও পেটের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। চায়ের ট্যানিন অম্লীয়তা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে।

৩. লৌহ শোষণে বাধা

চা খাওয়ার ফলে লৌহের শোষণে বাধা দেয়, বিশেষ করে যদি খাবারের সঙ্গে বা খাবারের পরে চা পান করা হয়। এটি আয়রন ঘাটতির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৪. হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

কিছু গবেষণা বলছে যে অতিরিক্ত চা পান হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে, যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার

অনেকে চায়ে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশান, যা ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৬. দাঁতের উপর প্রভাব

চা পান দাঁতের উপর দাগ ফেলতে পারে এবং এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি দাঁতের এনামেল ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।

সংক্ষেপ

চা খাওয়ার উপকারিতা অসীম। এটি শুধু এক কাপ পানীয় নয়, বরং এক কাপ সুস্থতা। তাই, আসুন আমরা এই অসাধারণ পানীয়কে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিই এবং এর উপকারিতাগুলি উপভোগ করি।

এছাড়া বিশেষভাবে লাল চা, চিনি ছাড়া চা, রঙ চা, লিকার চা, দুধ চা সহ নানাবিধ চা বাংলাদেশের মানুষ পান করে থাকে। সবাই আসলে চা খাবার আগে চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিবেচনা করে চা পান করেন না। এটা অনেকটা পছন্দের উপর নির্ভর করে।