অলসতা এড়াবেন যে ৮ উপায়ে 0 532

অলসতা দূর করার উপায়

প্রতিদিন একই কাজ করতে আমরা অভ্যস্ত। সেই সাতসকালে অফিসে যাওয়া আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আর কি কিছু করতে ইচ্ছে করে? গড়িমসি করতে করতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে শেষ দিন পার হয়ে যায়। আবার আজ চিকিৎসকের কাছে যাব কি যাব না, ভাবতে ভাবতে দিনই পার হয়ে যায়। কখনো কখনো কোনো কাজ করব করব বলে আলস্যের কারণে আর করা হয়ে ওঠে না। শহুরে বাস্তবতা আর ব্যস্ততায় আলস্যের কারণে করি-করব বলে অনেক কাজই করতে পারি না, এককথায় আসলে করা হয়ে ওঠে না। এমনটা অভ্যাসই হয়ে উঠেছে। সেই আলস্য এড়াবেন কীভাবে?

কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে অলসতা এড়িয়ে চলাই ভাল। আমরা আসলে অলস নই, আমরা অনুপ্রাণিত নই বলেই আলস্য আমাদের ওপর ভর করে। প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে নিস্তেজ হয়ে যাই। জীবনে সজীবতা নেই বলে আমরা পেশাজীবনে যেমন আলস্য দেখাই, তেমনি ব্যক্তিজীবনে হয়ে উঠেছে বর্ণহীন। আলস্য এড়ানোর কাজটি পরিপূর্ণভাবে আমাদের মন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দেখে নেয়া যাক আলসেমী দূর করার কিছু উপায় এক নজরে।

নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন

চোরাবালি দেখেছেন কখনো? কিছু পড়লেই চোরাবালি যেমন গিলে খায়, তেমনি নিজেকে দোষ দেওয়াও এমন একটি অভ্যাস। নিজের দোষ নিয়ে যত ভাববেন, ততই আপনি ডুবে যাবেন। নিজের ওপর দোষ দিতে থাকলে আসলে নিজের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কাজে কী সমস্যা, কাজে কেন দেরি হচ্ছে, কাজের মান খারাপ কেন? এসব নিয়ে ভাবুন, সমাধানে মনোযোগ দিন। দোষারোপ বাদ দিন।

নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন

পুরোনো যা অভ্যাস আছে, যা কাটানোর জন্য নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। পুরোনোকে বাদ দেওয়ার চেয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তুললে নিজের আলস্য কাটানো যায়। ছোট ছোট অভ্যাসে নিজের অলসতা কাটানো শুরু করুন। আজই লিফটে না চড়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটুন কিংবা পুরো পত্রিকা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজই শুরু করুন।

শুরু করুন সহজে

কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন ১০ কিলোমিটার দৌড়ানোর ইচ্ছে আপনার, সেই দৌড়ানোর অভ্যাস আর গড়ে তুলতে পারছেন না? শুরুতেই বড় কিংবা কঠিন কিছুকে অভ্যাস হিসেবে তৈরি করা বেশ কঠিন। শুরু করুন সহজ কিছু দিয়ে। আজই ১০ মিনিট কিংবা ১ কিলোমিটার দৌড়ান।

তিন সপ্তাহ সময় দিন

যেকোনো অভ্যাস গড়ে তুলতে গড়ে ২১ দিন সময় দিতে হয়। টানা ২১ দিন কোনো কাজ করুন, অভ্যাস হয়ে যাবে তা তখন। টানা তিন সপ্তাহ লিফট এড়িয়ে চলুন, সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সকালে বই পড়তে পারেন।

গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করুন

ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে কোনো কাজের গুরুত্ব কেমন তা বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কাজের প্রকৃতিকে যদি গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করতে পারেন, তাহলে সহজেই অলসতা কাটানো যায়। স্বাস্থ্যকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা শুরু করলে আজই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু। আপনার কাছে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ হলে বাড়িঘর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা কিন্তু প্রয়োজন।

নিয়মে অভ্যস্ত হোন

কাল সকাল থেকে বদলে ফেলব নিজেকে, এমন করে কতই-না অনুপ্রেরণা আমরা নিজেদের দিয়ে থাকি। কালকেই দৌড়ানো শুরু করব, এমন অনুপ্রেরণা হরহামেশাই নিই আমরা। অনুপ্রেরণার ধার আসলে প্রতিদিন এক থাকে না। যদি দৌড়ানোকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেন তাহলে দেখবেন শরীর-মন দুর্বল হোক কিংবা বাইরে বৃষ্টি হোক, আপনি দৌড়াবেনই।

আজকের জন্য কাজ করুন

আজকের জন্য কী কী কাজ করবেন তা প্রতিদিন সকালে একটি ছোট কাগজের টুকরোতে লিখে নিন। সেই কাজগুলো সারা দিন ধরে করে ফেলুন। আগামীকালের জন্য কাজ তখনই জমে যায় যখন আজকের কাজগুলো ঠিকমতো শেষ হয় না।

অবচেতন মনে যেসব অভ্যাসকে গ্রহণ করতে পারেন

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজের বিছানা গুছিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দিনে অন্তত আট গ্লাসের বেশি পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বই পড়ুন।

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 Success Factors of Ecommerce 0 174

success factors of ecommerce

E-commerce is the most latest technology trend across the globe. This is becoming popular day by day among the internet users. E-commerce is basically a platform for online shopping. People check the product online, order, get it delivered to their fingertips easily. This is not only a technology, but also the newest wonder in 21st century. So that many people now-a-days are looking for opening ecommerce business.

Let’s have a look into 11 success factor of building an ecommerce:

01: Variety of SKU
A large variety of products and categories allow for a vast and diverse group of consumers.

02: Content that rocks
The quality of our product data will ultimately determine the quality of the customer experience we offer. With so much scope in digital commerce, customers will often vote with their feet if they don’t find the information they need. Therefore, creating rich product content is key in achieving eCommerce success.

03: Deliver that ordered
Deliver the exact product that customer ordered from our site.

04: Ensure the Stock
Make sure the product is available in the stock when order is placed. Ensure that the customer gets the product at any cost.

05: Deliver Quickly
Fast logistics and quick delivery could mean the difference between a purchase and no purchase. The faster we can get our product to the customer, the higher the chances of purchasing.

06: Return and Refund without question
Returns help to increase the Customer Lifetime Value (CLV) of an e-commerce store. Repeat customers are easier to sell to, spend more on each purchase, share positive posts about brands, and increase overall profitability.

07: Privacy in packaging
Hiding information about the package content ensures the privacy and security of the products as well as helps gain customer satisfaction.

08: Low Price Guarantee
A low price allows us to gain market share by attracting new customers who spread the word about the offering and enticing customers away from competitors. The goal is to rapidly penetrate the market — then eventually raise prices without losing those early adopters.

09: Keep them Engaged
Offer wide variety of solutions in one single platform, ensure the customers get benefitted by surfing our site or app.

10: Culture of Innovation
Innovate new ideas, apply diversified technology, build a culture that encourages the employees to think widely.

11: Easy process overall
The best customer service is when the customer doesn’t need to call you, doesn’t need to talk to you. It just works.

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার 0 189

ডেংগু জ্বর

ডেঙ্গু বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের একটি। এই জ্বরে আক্রান্ত একদিকে যেমন দূর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেশ শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন। তবে ডেঙ্গু প্রাণঘাতি কোনো রোগ নয়। বিশ্রাম ও নিয়ম মাফিক চললে এ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার।

ডেঙ্গু জ্বর কখন ও কাদের বেশি হয়?
মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে এই জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় ডেঙ্গু মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতেই সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত মশা বিস্তার লাভ করে।সাধারণত শহর অঞ্চলে অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালান কোঠায় এই মশার প্রাদুর্ভাব বেশি, তাই ডেঙ্গু জ্বরও এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়। বস্তিতে বা গ্রামে বসবাসরত লোকজনের ডেঙ্গু কম হয় বা একেবারেই হয় না বললেই চলে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার ও চিকিৎসা
ডেঙ্গুর লক্ষণ তীব্র হলে বাসায় চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। এমন রোগীদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা নিতে হবে। তীব্র ডেঙ্গুতে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, রোগীর অভ্যন্তরীণ অঙ্গ থেকে শুরু হতে পারে রক্তক্ষরণ। দ্রুত রক্তের অণুচক্রিকা (প্লাটিলেট) কমে যেতে পারে। সাধারণ ডেঙ্গুর কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা নেই। কারও ডেঙ্গু হলে করণীয়: পূর্ণ বিশ্রাম; পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান। শরবত, ফলের রস, স্যুপ, ডাবের পানি, স্যালাইন পান; জ্বর বা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল; অ্যাসপিরিন, আইবোপ্রোফেন কিংবা ব্যথা–বেদনানাশক ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না। এগুলো ডেঙ্গুর রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর যদি শরীর আরও বেশি খারাপ হতে থাকে, তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে; রক্ত পরীক্ষা করে অণুচক্রিকার এবং হেমাটোক্রিটের পরিমাণ জেনে নিতে হবে; রক্তের অণুচক্রিকা কমতে থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে; অণুচক্রিকা ১০ হাজারের নিচে নেমে গেলে কিংবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে রক্ত দিতে হবে।