ভালোবাসা দিবসে ঘুরতে যাওয়ার ৫টি সেরা জায়গা 0 1107

“চলো না ঘুরে আসি অজানাতে….”- না, এই আধুনিক সময়ে যখন সবাই আমরা লোকেশন ট্র্যাকার কিংবা জিপিএস এর আওতায়, তখন অজানাতে ঘুরতে যাওয়াটা অনেকটা স্বপ্নের মতোই। এই ব্যস্ত নগরী থেকে একটু স্বস্তি পেতে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে এই ভালবাসা দিবসে ঘোরাঘুরি করে আসুন দূরে কোথাও।  নিশ্চয়ই সবার মতো আপনিও চিন্তিত কোথায় যাওয়া যায় ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে(Valentines Day)-তে? আপনাকে চিন্তামুক্ত করে দিতে আমাদের আজকের আয়োজন “ভালোবাসা দিবসে ঘুরতে যাওয়ার ৫টি বিশেষ স্থান”। জেনে নিন এখনি:

১। কক্সবাজার

দেশের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার সর্বোত্তম দর্শনীয় জায়গা হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ভালোবাসার মানুষটিক নিয়ে দেখতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। আর যদি সমুদ্র দেখার পাশাপাশি কম খরচে পাওয়া যায় একটুখানি বিলাসিতা তাহলে মন্দ কি। বিভিন্ন অনলাইন শপ ও ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সব থেকে সর্বোত্তম কক্সবাজার ট্যুর প্যাকেজ।

২। নেপাল

যারা পাহাড় ভালোবাসেন তাদের জন্য নেপাল অন্যতম। হিমালয়ের হাতছানি আর পুরোনো বৌদ্ধ সভ্যতা দুটোই আপনাকে আনন্দিত করে তুলবে। ভালোবাসার মানুষটির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন নেপালি পোশাকে। আগাম বুকিং অনেক সময় আপনার ভ্রমণকে স্বাচ্ছন্দ এবং সামর্থ্যের মধ্যে এনে দিচ্ছে খুব সহজেই। আপনার জানার সুবিধার্থে বলছি, নেপাল সরকার বাংলাদেশী নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহ করে থাকে, অর্থাৎ আগে থেকে এমব্যাসি তে ঘোরার কোন দরকার নেই।

৩। ভুটান

ভ্রমণ স্থানগুলোর মধ্যে আরেকটি বিশেষ দেশ হলো ভুটান। সর্পিল রাস্তা আর পাহাড়ে ঘেরা এই দেশটির মানুষজন ভীষণ ভালো এবং অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটিতে যেতে তেমন একটা খরচ হয় না, এমনকি বাসে করেও ঢাকা থেকে ভ্রমণ করা যায় ধাপে ধাপে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন জাদুঘর, আকর্ষনীয় পার্ক এবং ঐতিহাসিক কিছু স্থাপনা।

৪। মালদ্বীপ

রোমান্টিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে সবার প্রথমে যে নামটা মাথায় আসে টা হলো মালদ্বীপ। চারিদিক নীলাভ জলরাশি আর মাঝে এক টুকরো স্বর্গরাজ্য। কাপল হানিমুন, ফ্যামিলি ট্যুর কিংবা ভ্যালেন্টাইন্স ডে – উপলক্ষ যাই হোক না কেন ভালোবাসা উদযাপনের অন্যতম পারফেক্ট জায়গা এটি। সমুদ্রের পাড়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার এর কথা তো উল্লেখ না করাই ভাল।

৫। থাইল্যান্ড

পাতায়া কিংবা ব্যাংকক যাই হোক আপনার পছন্দ, এই কথা মানতেই হবে যে সকল ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে থাইল্যান্ড হলো বহুল আকাঙ্খিত দেশ। এখানে সমুদ্রের হাতছানি এড়ানো দায়। আর এই ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ঘোরার অন্যতম জায়গায় হতে পারে পাতায়া এবং ব্যাংকক।

তো আপনি পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন কোথায়? আপনার পছন্দ আমাদের জানিয়ে কমেন্ট করুন কমেন্ট বক্সে।

আরো পড়ুনঃ যে ৫টি ভুল হানিমুনে গিয়ে প্রত্যেক পুরুষই করেন!

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জলপাই আচার – রেসিপি ১ – বানানোর নিয়ম 0 5196

জলপাই আচার

জলপাই আচার শব্দটা শোনার সাথে সাথেই ছেলে বুড়ো সবারই আসে জিভে জল। আজ তবে জলপাই আচার তো বানাবোই, তবে তার আগে জেনে নেই জলপাই সম্পর্কে কিছু কথা। জলপাই (Jolpai) একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় টক ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Elaeocarpus serratus। এটি সিলন অলিভ (Ceylon olive) নামেও পরিচিত। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ, ইন্দোচীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে জলপাই বেশি হয়ে থাকে। জলপাই থেকে তৈরিকৃত আচার বেশ জনপ্রিয়, তবে জলপাই থেকে তৈরিকৃত জলপাই তেল এর ঔষধি গুনাগুন বেশ। এবার, চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে সহজে স্বাস্থ্যসম্মত জলপাই আচার তৈরি করা যায়(jolpai achar recipe) ঘরোয়া ভাবে।

জলপাই আচার রেসিপি বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ :

  • কাঁচা জলপাই – ১ কেজি
  • আস্ত রসুন – ৩ টি ( কুচি কুচি করা )
  • আস্ত লাল মরিচ – ১০ টি
  • তেজ পাতা – ৩ টি
  • এলাচ – ৪ টি
  • দারুচিনি – ২ টি
  • পাঁচ ফোড়ন  – ৩ টেবিল চামচ
  • সরিষা বাটা – ৩ টেবিল চামচ
  • লাল মরিচের গুঁড়া -১ চা চামচ
  • হলুদের গুঁড়া -২ চা চামচ
  • ভিনেগার – ১ কাপ
  • চিনি – ২ কাপ বা আপনার স্বাদ মত 
  • সরিষার তেল – ১/২ লিটার 
  • লবণ – পরিমান মত

জলপাই আচার বানানোর পদ্ধতি :

  • কাঁচা জলপাই গুলো ধুয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে জলপাই গুলা ভর্তা করুন।  
  • ভর্তা করা জলপাই এ  লবণ, হলুদের গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া, সরিষা  বাটা ও ৪ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন ও সূর্যের আলো বা রোদে ৪ ঘণ্টা রাখুন। 
  • একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে আস্ত লাল মরিচ, তেজপাতা, রসুন, পাঁচ ফোড়ন, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ৪-৫ সেকেন্ড ভাজুন। তারপর তাতে জলপাই দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন। চিনি ও লবণ  দিয়ে নেড়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।
  • এরপর ভিনেগার দিয়ে অল্প আঁচে আরো ৫ মিনিট রান্না করুন।   
  • তৈরী হয়ে গেল জলপাই এর আচার। খানিকটা ঠাণ্ডা হলে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।

পরিশেষে, এভাবে বেশ সহজ উপায়ে ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার ও সুস্বাদু জিভে জল আনা জলপাই আচার। আর ঘরে বসে যখন কিছু বানাবেন তা হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন। আর এভাবেই, ছোট কিংবা বড়, পরিবারের সবাই মিলে খেতে পারবেন মজার এই জলপাই রেসিপি(jolpai achar recipe)।

আরো পড়ুনঃ তালমাখনা খাওয়ার উপকারিতাফ্রাইড রাইস রেসিপি

Summary
recipe image
Recipe Name
জলপাই আচার
Author Name
Published On
Preparation Time
Cook Time
Total Time
Average Rating
51star1star1star1star1star Based on 4 Review(s)

ই-মেইল লেখার নিয়ম ও আদবকেতা 0 4144

ইমেইল লেখার নিয়ম

পড়ালেখা কিংবা পেশাগত জীবনে এখন ই-মেইলের গুরুত্ব অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে ই-মেইল করা থেকে শুরু করে বৃত্তি, ফেলোশিপ, ইন্টার্নশিপসহ নানা কারণে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু অনেকেই ই-মেইল লেখার আদবকেতা জানেন না। জেনে নেই ইমেইল / অনুলিপি লেখার নিয়মঃ

১. কেমন হবে ই-মেইল ঠিকানা?

অনেকে ই-মেইল ঠিকানা তৈরির সময় কিছু শব্দ যোগ করে দেন। যেমন ‘ড্রিম বয়’, ‘ওয়ারিয়র’, ‘সুইট’, ‘ঢাকা’ ইত্যাদি। অনেকে যোগ করেন জন্মসাল। যেমন rahim1998@gmail.com। এ ধরনের ই-মেইল ঠিকানা অপেশাদার আচরণের বহিঃপ্রকাশ। ই-মেইল ঠিকানা তৈরির ক্ষেত্রে নামের আদ্যক্ষর কিংবা পেশার পরিচয় প্রকাশ করুন। যেমন আপনার নাম যদি হয় আহসান আহমেদ খান, আপনার ই-মেইল ঠিকানা হতে পারে aakhan@yahoo.com। কখনো কখনো পেশাও ই-মেইল ঠিকানার অংশ হতে পারে। যেমন hasan. writer@gmail.com বা hasan.doctor@outlook.com। ওয়েব মেইল বা বিনামূল্যের ই–মেইল সেবায় পছন্দমতো ই-মেইল ঠিকানা না পেলে নামের সঙ্গে ২ অঙ্কের সংখ্যা বসিয়ে নিতে পারেন। যেমন aakhan88@gmail.com।

২. সম্ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যাঁকেই ই-মেইল করুন না কেন, সম্ভাষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে লেখার ক্ষেত্রে শুধু ‘হাই’ বা ‘হ্যালো’ লিখে শুরু করবেন না। যাঁকে ই-মেইল করছেন, তাঁর গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘ডিয়ার স্যার’ বা ‘ডিয়ার প্রফেসর’-এভাবে লিখতে পারেন। কখনো কখনো যোগ করতে পারেন প্রাপকের নাম, যেমন ‘ডিয়ার প্রফেসর এনামুল হক’। সহকর্মী কিংবা সমবয়সী কাউকে ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করুন। যদি প্রাপকের নাম না জানা থাকে, তাহলে শুধু ‘ডিয়ার স্যার’ লিখুন। বাংলায় লিখলে ‘জনাব…’ বা ‘প্রিয়…’ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

৩. বানান-ব্যাকরণে ভুল নয়

ই-মেইল লেখার পর অবশ্যই বানান পরীক্ষা করবেন। ইংরেজি কিংবা বাংলা যে ভাষাতেই ই-মেইল লিখুন না কেন, বানান শুদ্ধ রাখতেই হবে। ব্যাকরণে ভুল করা চলবে না। ইংরেজি ব্যাকরণে যারা দুর্বল, তারা ইন্টারনেট ব্রাউজারে ‘গ্রামারলি’ কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো বানান-ব্যাকরণ সংশোধনের ‘এক্সটেনশন’ যুক্ত করে নিতে পারেন। জিমেইল বা এ ধরনের ওয়েব মেইল সেবায় বানান পরীক্ষক রয়েছে। ইংরেজি বানান ভুল হলে সেটির নিচে লাল দাগ আসে। শব্দের ওপর মাউসের ‘ডান ক্লিক’ করে শুদ্ধ বানান বেছে নিন।

৪. ‘সাবজেক্ট লাইন’ সংক্ষিপ্ত কিন্তু দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখুন

‘সাবজেক্ট লাইন’ অর্থাৎ ই-মেইলের বিষয় দুই বা তিনটি শব্দে এমনভাবে লিখুন, যেন তা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শুধু ‘ই-মেইল’ বা ‘হাই-হ্যালো’ লিখবেন না। যে কারণে ই-মেইল করছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায় এমনভাবে লিখুন। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও কম শব্দে লিখুন।

৫. ‘সিসি’ ও ‘বিসিসি’

কখনো কখনো আমরা একসঙ্গে কয়েকজনকে ই-মেইল করে থাকি। এ ক্ষেত্রে কার্বন কপি (সিসি) বা অনুলিপি কাদের দিচ্ছেন, তা অবশ্যই খেয়াল করুন। ই-মেইলের মূল প্রাপক যিনি, তাঁর নামটি ই-মেইল ঠিকানার ঘরে লিখতে হবে, আর যাদের অনুলিপি পাঠাচ্ছেন তাঁদের নাম ‘সিসি’ ঘরে লিখতে হবে। অনুলিপি আপনি কাদের পাঠাচ্ছেন, সেটা প্রাপকদের না জানাতে চাইলে বিসিসি বা ‘ব্লাইন্ড কার্বন কপি’ ঘরে ই-মেইল ঠিকানা লিখুন।

৬. ‘রিপ্লাই অল’ ক্লিক করার আগে ভাবুন

আমরা অনেক সময় এমন ই-মেইল পেয়ে থাকি, যেখানে সিসি বা অনুলিপি হিসেবে আরও অনেকের ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে অনেকে কোনো কিছু না ভেবেই ‘রিপ্লাই অল’ চাপেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে ই-মেইলে সম্পৃক্ত সবার কাছেই উত্তরটা পৌঁছে যায়। কিন্তু আপনি হয়তো চাইছেন, ই-মেইলটি যিনি পাঠিয়েছেন, শুধু তাঁর কাছেই উত্তর যাক। এ ক্ষেত্রে ‘রিপ্লাই অল’ সিলেক্ট করা ঠিক হবে না। আপনি আপনার উত্তর ই-মেইলের সঙ্গে সংযুক্ত সবাইকেই জানাতে চান কি না, সেটা ভাবুন।

৭. অল্প কথায় লিখুন

পেশাজীবনে চার থেকে ছয় বাক্যের মধ্যে ই-মেইল লেখার চর্চা করুন। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা এমনটাই উপদেশ দেন। বলা হয়, আপনি যদি চার থেকে ছয়টি বাক্যের মধ্যে সহজভাবে লিখে প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেও আপনার বক্তব্য বোঝাতে পারবেন না। মুঠোফোনে যেমন ১৬০ শব্দ, আবার টুইটারে ১৪০ শব্দের মধ্যে মনের ভাব তুলে ধরতে হয়, সেভাবে চার থেকে ছয় বাক্যে ই-মেইল লেখার চর্চা করুন। বড় আকারের ই-মেইল লিখতে হলে লেখার শুরুতেই প্রাপককে বিষয়টা জানিয়ে নিন। গুরুত্বপূর্ণ বাক্যগুলো ‘আন্ডারলাইন’ করে দিন। আবার বেশি ছোট ই-মেইল লেখাও ভদ্রতার পরিচয় নয়। ই-মেইলের উত্তরে শুধু ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘গট ইট’ (পেয়েছি), এমন কিছু লিখবেন না। অন্তত দুই থেকে তিনটি বাক্য ব্যবহার করে উত্তর দিন।

৮. ইন্টারনেটের ‘চলতি’ ভাষা এড়িয়ে চলুন

ই-মেইল লেখার সময় বিনা প্রয়োজনে কোনো বাক্য যোগ করবেন না। মেসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় আমরা যেমন সংক্ষিপ্ত আকারে লিখি, যেমন ‘অ্যাসাপ’, ‘বিআরবি’, ‘এলওএল’—এ ধরনের শব্দ না লেখাই ভালো। পূর্ণ শব্দ লিখুন। You লিখতে গিয়ে সংক্ষেপে U লিখবেন, এমনটা যেন না হয়।

৯. ই-স্বাক্ষর যুক্ত করুন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

ই-মেইল সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সাবলীল ভাষায় লিখুন। যে বক্তব্য প্রকাশ করতে চান, তা স্পষ্ট শব্দ ও বাক্যে লিখুন। কঠিন শব্দ বা অতি দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করে প্রাপকের মনোযোগ নষ্ট করবেন না। ই-মেইল লেখা শেষে শুভেচ্ছা জানিয়ে দু-তিনটি শব্দ অবশ্যই লিখবেন। ই-মেইলের শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের নাম ও পরিচয়ের তথ্য যুক্ত করতে পারেন। ই-স্বাক্ষর যোগ করার উপায়ও ই-মেইলে আছে। নাম, পরিচয়, প্রয়োজনে মুঠোফোন নম্বর ‘ই-স্বাক্ষর’ হিসেবে যুক্ত করুন। ‘ই-স্বাক্ষর’ চার লাইনের বেশি না হওয়াই ভালো।

১০. ফাইল সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন

ই-মেইলে ‘অ্যাটাচড ফাইল’ পাঠানোর সময় সতর্ক থাকুন। দুই বা তিনটির বেশি ফাইল পাঠানোর ক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভ কিংবা মাইক্রোসফট আউটলুকের ক্ষেত্রে ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করুন। আপনার ড্রাইভে প্রাপকের প্রবেশাধিকার (একসেস) আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করুন। অনেকে ই-মেইলের সঙ্গে একগাদা ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করে দেন। এ ধরনের আচরণ প্রাপককে বিরক্ত করতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে এমনটা না করাই শ্রেয়।