মাথা নষ্ট করা ১০ বাংলা থ্রিলার মুভি 0 515

সেরা ১০ বাংলা থ্রিলার মুভি

মুভি নিয়ে আমাদের কৌতূহল তো থামবার নয়, বরং প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম বাংলা ভাষায় নির্মিত সেরা ১০টি ক্রাইম থ্রিলার মুভি। তো এবার শুরু করা যাক ক্রাইম থ্রিলার নিয়ে আলোচনা।

নাম্বার ১০ – শিকারী
তালিকার দশ নাম্বারে আছে এসকে মুভিজ ও জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ও শাকিব-শ্রাবন্তী অভিনীত যৌথ প্রযোজনার মুভি শিকারি(Shikari)। সুপারস্টার শাকিব খান তার জীবনের সেরা অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন এই ক্রাইম থ্রিলার মুভিটিতে। ছবি পরতে পরতে আছে অ্যাকশন থ্রিল আর সাথে রয়েছে রোমান্স, যা আপনাকে বিনোদিত করতে বাধ্য।

নাম্বার ৯ – চোরাবালি
এই তালিকার নয় নম্বরে থাকছে রেদওয়ান রনির নির্দেশনায় ও ইন্দ্রনীল-জয়া আহসান অভিনীত বাংলাদেশী ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা চোরাবালি(Chorabali)। ইন্দ্রনীল এর অ্যাকশন লুক আর শহিদুজ্জামান সেলিমের অনবদ্য ভিলেনশিপ চোরাবালি কে দিয়েছে অনন্য মাত্রা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুভিটির কাহিনী থেকে আপনাকে স্ক্রীন থেকে চোখ নামাতে দিবে না একবারের জন্যেও।

নাম্বার ৮ – ঢাকা অ্যাটাক
আমাদের তালিকার অষ্টম স্থানে থাকছে পরিচালক দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ও আরেফিন শুভ- মাহিয়া মাহি অভিনীত বাংলাদেশী ক্রাইম থ্রিলার ঢাকা অ্যাটাক(Dhaka Attack)। বাংলা ভাষায় নির্মিত সবচেয়ে আধুনিক পুলিশ ক্রাইম থ্রিলার এটি। তাসকিন রহমান ভিলেন চরিত্রে ছিলেন অসাধারণ। মেকিংও ছিল বেশ সম্পূর্ণ। ইদুর বিড়াল খেলার এ ক্রাইম থ্রিলার আপনাকে দিবে সর্বোচ্চ লেভেলের থ্রিল।

নাম্বার ৭ – কানামাছি
ওপার বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ও ষ্টার কাস্ট অংকুশ-আবির-শ্রাবন্তী অভিনীত পলিটিকাল ক্রাইম সিনেমা কানামাছি(Kanamachi) থাকছে আমাদের তালিকার আট নম্বরে। একটা সম্পূর্ণ নতুন রাজনৈতিক দল পুরনো একটি দলকে হঠিয়ে রাজ্য ক্ষমতায় আসার অসাধারণ গল্প নিয়ে নির্মিত কানামাছি দেখে আপনি পাবেন পলিটিকাল থ্রিলার সিনেমার অন্যরকম সংজ্ঞা।

নাম্বার ৬ – দ্বিতীয় পুরুষ
সুপারস্টার পরিচালক সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ও পরমব্রত-রাইমা সেন জুটি অভিনীত ভারতীয় বাংলা ক্রাইম থ্রিলার দ্বিতীয় পুরুষ(Dwitiyo Purush) থাকছে আমাদের তালিকার ৬ নম্বরে। দ্বিতীয় পুরুষ মূলত ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাইশে শ্রাবণ মুভির সিকুয়েল মুভি। ২৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক বীভৎস সিরিয়াল কিলার আর পুলিশের ইদুর বিড়াল কাহিনী আপনাকে দিবে লোমহর্ষক থ্রিল।

নাম্বার ৫ – বর্ণপরিচয়
তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকছে পরিচালক মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত ও তারকা অভিনেতা যীশু-আবির অভিনীত ডিটেকটিভ ক্রাইম মুভি বর্ণপরিচয়(Bornoporichoy)। জনপ্রিয় শিল্পী অনুপম রায়ের সংগীত পরিচালনা মুভিটি কে দিয়েছে অন্যরকম মাত্রা। সিরিয়াল কিলিং আর পুলিশ-খুনীর থ্রিলিং দৌড়ঝাপ আপনাকে শেখাবে মৃত্যুর ব্যাকরণ।

নাম্বার ৪ – চতুষ্কোণ
বহুল জনপ্রিয় পরিচালক বাংলাদেশের জামাই সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত পরমরত-অপর্ণা অভিনীত সুপার ক্রাইম থ্রিলার মুভি চতুষ্কোণ(Chotushkon) থাকছে আমাদের তালিকার ৪ নম্বরে। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী গড়ে উঠেছে চার পরিচালকের চারটি আলাদা গল্প এর একক কাহিনীর মাধ্যমে। ছবির আগাগোড়া নাটকীয় মোড় আর থ্রিল আপনার জন্য রাখবে সিনেম্যাটিক টুইষ্ট।

নাম্বার ৩ – ভিঞ্চি দা
তারকা পরিচালক সৃজিত মুখার্জি আর রুদ্রনীল-ঋত্বিক চক্রবর্তীকে নিয়ে বানানো অসাধারণ সিরিয়াল কিলিং ক্রাইম থ্রিলার ভিঞ্চি দা(Vinchi Da) থাকছে আমাদের তালিকার তিন নম্বরে। একজন প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টিস্ট আর উকিলের যুগলবন্দিতে কিভাবে একের পর এক লোমহর্ষক মার্ডার হতে থাকে, সিনেমাটি না দেখলে তবে থ্রিলিং কেবল মিসিং থেকে যাবে।

নাম্বার ২ – বাইশে শ্রাবণ
দ্বিতীয় পুরুষ সিনেমার প্রথম পর্ব সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত আর সুপারস্টার প্রসেনজিৎ অভিনীত সাইকোলজিক্যাল ক্রাইম থ্রিলার বাইশে শ্রাবণ(Baishe Srabon) থাকছে আমাদের তালিকার দুই নম্বরে। পরিচালক অভিনেতা গৌতম ঘোষ দীর্ঘ ২৯ বছর পরে অভিনয় জগতে ফেরত আসেন এ সিনেমার মাধ্যমে। একজন পাগল সিরিয়াল কিলার আর বাংলা কবিতা ফেলে রেখে খুন করা – ছবির শুরু থেকে শেষ অবধি আপনাকে দিয়ে যাবে থ্রিল আর টুইষ্ট।

নাম্বার ১ – আয়নাবাজী
আমাদের সকলের চোখ আটকে আছে ১ নম্বরে কোন থ্রিলার সিনেমা? হ্যাঁ, আমাদের তালিকার ১ নম্বরে আছে পরিচালক অমিতাভ রেজা পরিচালিত আর জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত অসাধারণ ক্রাইম থ্রিলার আয়নাবাজি(Aynabaji)। থ্রিল আর টুইস্ট এর সর্বোচ্চ প্রদর্শনী খুঁজে পাবেন মূল চরিত্র শরাফত করিম আয়নার মধ্যে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর হয়ে জেলখাটা আর পেছনে লাগা ক্রাইম রিপোর্টারের যুদ্ধ নিশ্চিতভাবেই আপনাকে চোখ আটকে রাখবে ছবির শেষ পর্যন্ত, আপনার মস্তিষ্ক নিয়ে খেলবে দীর্ঘ সময়।

আর এই ছিল আজকের টপ টেন। আপনার তালিকা কি অন্যরকম? মন্তব্য করে আমাদের জানান। ভাল থাকুন, আর বাংলা সিনেমার সঙ্গেই থাকুন।

দেখুন ইউটিউবেঃ বাংলা ক্রাইম থ্রিলার মুভি

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সেরা ৫ হুমায়ুন আহমেদের বই 0 79

হুমায়ুন আহমেদ – একটি নাম, একটি ইতিহাস। বাংলা সাহিত্যের একজন কিংবদন্তী। নাটক, গল্প, উপন্যাস, সিনেমা – যেদিকে হাত দিয়েছেন সেখানেই ফলেছে সোনা। তার প্রতিটি কাজ, প্রতিটি লেখনী মানুষের কাছে হয়েছে জনপ্রিয়, পাঠকদের কাছে হয়েছে স্বপ্নের বাস্তব। মাত্র ৬৪ বছরের জীবনে নিজেকে স্থাপন করেছেন বাংলা সাহিত্যের নতুন জগতের সম্রাট হিসেবে। আজ ব্রাকেট পোষ্টের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় ও সেরা ৫ টি বই নিয়ে আলোচনা।

০১। শংখনীল কারাগার ১৯৭৩

শঙ্খনীল কারাগার হুমায়ূন আহমেদের প্রাথমিক লেখক জীবনের একটি সমকালীন উপন্যাস। এটি বাংলাদেশ সৃষ্টির পরেই খান ব্রাদার্স, অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রথম ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে শঙ্খনীল কারাগার নামে উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।

শংখনীল কারাগার

চরিত্র
খোকা (কথক)
রাবেয়া
মন্টু
রুনু
ঝুনু
কিটকি
নিনু
ওভারশীয়ার কাকু
সুহাসিনী মাসি
শিরিন সুলতানা (খোকার মা)
খোকার ছোটখালা
খোকার বড়মামা, মনসুর
আজহার হোসেন (খোকার বাবা)
আবিদ হোসেন (রাবেয়ার আসল বাবা)

কাহিনী সংক্ষেপ
উপন্যাসের মূল কথক ‘খোকা’। তারা মোট ছয় ভাইবোন। তার বড় বোন রাবেয়া। তার বাবা আর রাবেয়ার বাবা ভিন্ন দুই ব্যক্তি। রাবেয়ার মায়ের আগে এক ধনী ব্যাক্তির সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেই পরিবারে জন্মায় রাবেয়া। রাবেয়ার বাবার সাথে রাবেয়ার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

খোকার ছোট ভাই মন্টু লেখাপড়ায় অমনোযোগী। কিন্তু সে একজন কবি। তার চমৎকার সব কবিতা ছাপা হতো পত্রিকায়। এভাবেই দিন চলে যেতে থাকে তাদের। কাছের মানুষগুলো ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। রাবেয়া শহরের এক মহিলা হোস্টেলের সুপারিন্টেনডেন্ট হয়ে পরিবার থেকে কিছুটা দূরে চলে যায়। মন্টুও তার সদ্য যৌবনের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর খোকা ক্রমেই পুরানো দিনের প্রাচুর্যের স্মৃতি অন্তরে জমিয়ে রেখে নিঃসঙ্গতার বেদনায় ডুবতে থাকে।

০২। মেঘ বলেছে যাব যাব ১৯৯৭

মেঘ বলেছে যাব যাব হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাস। ১৯৯৭ সালের বইমেলায় উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৯৭ সালে অবসর প্রকাশনা বইটি প্রকাশ করে।

চরিত্রসমূহ
হাসান – প্রধান চরিত্র
তিতলী – হাসানের প্রেমিকা
তারেক – হাসানের ভাই
রীনা – তারেকের স্ত্রী
লাবনী – তারেকের কলিগ
লায়লা – হাসানের বোন
হিশামুদ্দিন – কোটিপতি ব্যবসায়ী
চিত্রলেখা – হিশামুদ্দিনের মেয়ে
সুমি – হাসানের ছাত্রী
শওকত – তিতলীর স্বামী।
নাদিয়া – তিতলীর বোন
হাসানের মা-বাবা, তারেকের দুই ছেলে, তিতলীর মা-বাবা, লায়ালার স্বামী

কাহিনী সংক্ষেপ
হাসান একজন বেকার। তবে পুরো পুরি নয়। কোটিপতি হিশামুদ্দিনের জীবনী সে লিখছে। প্রতি বুধবারে হিশামুদ্দিন সাহেব হাসানকে এক ঘণ্টা করে জীবনী বলবেন বলে কথা হয়েছিল। প্রতি ঘণ্টা ৬০০ টাকা হিসেবে দেওয়ার কথা থাকলেও হিশামুদ্দিন সাহেব কখনো তাকে এক ঘণ্টা সময় দেন না। তবে হিশামুদ্দিন সাহেব হাসানকে অনেক পছন্দ করতেন। একসময় তিতলীদের পাশের বাসায় থাকত হাসানের পরিবার। সেই থেকে তাদের পরিচয়। পরে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে তারা। তবে হাসান বেকার হওয়ায় তিতলীর বাবা মতিন সাহেব ব্যপারটা পছন্দ করত না।

চিত্রলেখা তার বাবার অফিসে বসতে শুরু করে। সেখানেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। একসময় নেপাল বেড়াতে যায় তিতলী আর শওকত। সেখানে এক সকালে নিজেকে শওকতের কাছে বিলিয়ে দেয় তিতলী। অন্যদিকে হাসানের ব্রেন টিউমার ধরা পরে।

০৩। আমিই মিসির আলী ২০০০

হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে মিসির আলি বেশ জনপ্রিয়। মিসির আলি কাহিনীগুলোও বেশ থ্রিলিং। মিসির আলি সিরিজের বইগুলোর মধ্যে আমিই মিসির আলি দ্বাদশ প্রকাশনা। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বই মেলায় অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী হতে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়।

আমিই মিসির আলী ২০০০

চরিত্রসমূহ
মিসির আলি
মাহাবা বেগম লিলি
এস. সুলতান হক – লিলির স্বামী
বরকত – লিলিদের বাড়ির দারোয়ান
অশ্বিনী রায় – লিলিদের বাড়ির আদি মালিক ও সিরিয়াল কিলার
সালমা – স্যাম্পল নাম্বার ৭

কাহিনী সংক্ষেপ
মিসির আলির টেকনাফ বেড়াতে যাওয়ার কথা থাকলেও লিলির স্বামীর টোপ গিলে তিনি চলে গেলেন এস.সুলতান হকের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে সামান্য অভিভূত হলেন কিন্তু সেখানে তাকে আটকে রাখা হল। তিনিই ছিলেন সুলতানের গবেষণার সাবজেক্ট। মিসির আলিকে ভয় দেখানোর জন্য সালমা নামের এক পনের-ষোল বছর বয়সী কিশোরীকে বলি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে মিসির আলি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন।

০৪। জোছনা ও জননীর গল্প ২০০৪

জোছনা ও জননীর গল্প বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে হুমায়ুন আহমেদ রচিত একটি উপন্যাস। ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে একুশে বইমেলায় বাংলাদেশের অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়।

জোছনা ও জননীর গল্প

উপন্যাসের কাল্পনিক চরিত্রসমুহ
শাহেদ – এটিও বাস্তব একটি চরিত্র তবে উপন্যাসে লেখক সত্যের সাথে কল্পনা যোগ কয়েছেন
ইরতাজউদ্দিন – শাহেদের বড় ভাই
আসমানী – শাহেদের স্ত্রী
রুনি – শাহেদের মেয়ে
গৌরাঙ্গ – শাহেদের বন্ধু
মোবারক হোসেন – নাইমুলের শ্বশুর এবং পুলিশ ইন্সপেক্টর
নাইমুল – শাহেদের বন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা
মরিয়ম – নাইমুলের স্ত্রী ও মোবারক হোসেনের কন্যা
কলিমুল্লাহ – কবি

কাহিনী প্লট

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সংঘটিত লেখকের নিজ জীবনের এবং নিকট সম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তিনি উপন্যাসিক আঙ্গিকে এতে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রকাশের পর থেকে বহুবার বইটি একুশে বইমেলার বেস্ট সেলিং বইয়ের তালিকায় প্রথম সারিতে ছিল।


০৫। দেয়াল ২০১২
দেয়াল লেখক হুমায়ুন আহমেদ রচিত সর্বশেষ উপন্যাস। লেককের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিত্তিক উপন্যাস। এটি তার রচিত সর্বশেষ উপন্যাস যা তার মৃত্যুর ১ বছর পর অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

দেয়াল উপন্যাস

কাহিনী ও চরিত্র সংক্ষেপ

দেয়াল উপন্যাসটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের পটভুমিতে রচিত। এখানে লেখক বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে সমসাময়িকভাবে নিজেকেও উপস্থাপন করেছেন। এই উপন্যাসের কয়েকটি চরিত্র হল: অবন্তি , শফিক, সরফরাজ খান, ইসাবেলা, পীর হামিদ কুতুবি, ক্যাপ্টেন শামস, হাফেজ জাহাঙ্গীর, মেজর ফারুক, মেজর ইশতিয়াক, শেখ মুজিবুর রহমান, খালেদ মোশাররফ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের, মোশতাক আহমেদ, তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডোরা রাসনা, ছানু ভাই, আওয়ামী লীগার মোজাম্মেল, মেজর নাসের, মেজর রশীদ, আন্ধা পীর, মেজর ডালিম, ভারতীয় গুপ্তচর কাও, রাধানাথ, চা বিক্রেতা কাদের মোল্লা, শামীম শিকদার প্রমুখ।

ইন্টার মিয়ামি ও লিওনেল মেসির জার্সি এক নজরে 0 88

ইন্টার মিয়ামি তে মেসি

ইন্টার মিয়ামি – যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে লিওনেল মেসি পা রাখা মাত্রই ফুটবল দুনিয়ায় শুরু হল অসামান্য উত্তেজনা। এবার এক নজরে দেখে নেই এমএলএস ক্লাব ইন্টার মিয়ামি সম্পর্কে। ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল মায়ামি (ইন্টার মায়ামি ফুটবল ক্লাব বা কেবল ইন্টার মায়ামি নামে পরিচিত) ফোর্ট লডারডেলে অবস্থিত একটি আমেরিকান পেশাদার ফুটবল ক্লাব। ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত সকার ক্লাবটি ২০২০ মৌসুম থেকে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) খেলতে শুরু করে। ক্লাবটি বর্তমানে তার ঘরোয়া এমএলএস ম্যাচগুলো ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামে খেলে, যা ফ্লোরিডার নিকটবর্তী ফোর্ট লডারডেলের প্রাক্তন লকহার্ট স্টেডিয়ামের স্থান।

টপিকবিস্তারিত তথ্য
ক্লাবের নামইন্টার মিয়ামি
প্রতিষ্ঠা২৯ জানুয়ারি ২০১৮
মালিকডেভিড বেকহাম, জর্জ মাস, জোস মাস
সভাপতিডেভিড বেকহাম
অধিনায়কলিওনেল মেসি
কোচজেরার্ডো টাটা মার্টিনো
মাঠের নামড্রাইভ পিংক স্টেডিয়াম
ধারণ ক্ষমতা১৮,০০০
লীগের নামমেজর লীগ সকার
ওয়েবসাইটhttps://www.intermiamicf.com/

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ২০১৮ সালের ২৯ শে জানুয়ারি মায়ামি বেকহ্যাম ইউনাইটেড গ্রুপ ক্লাবটি কিনতে সমর্থ হন। দলের মালিকানা এখন মায়ামি ফ্রিডম পার্ক এলএলসি এর মাধ্যমে কাজ করে। ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল মায়ামি, বা সংক্ষেপে ইন্টার মায়ামি ফুটবল ক্লাব, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে ক্লাবের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে প্রাক্তন উরুগুয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং ফুটবল ক্লাব মন্টেরির ম্যানেজার দিয়েগো আলোনসোকে ক্লাবের উদ্বোধনী প্রধান কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ইন্টার মায়ামির প্রথম এমএলএস খেলা ১ মার্চ ২০২০ এ খেলা হয়েছিল, যেখানে তারা লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাবের কাছে ১–০ গোলে হেরেছিল।

মিয়ামি – হোম জার্সি

ইন্টার মিয়ামি জার্সি - হোম

ক্লাব ইন্টার মিয়ামি দুই ধরণের জার্সি সাধারণত ব্যবহার করে। একটি ইন্টার মিয়ামির হোম জার্সি হিসেবে নিজেদের মাঠে পরে খেলে। হোম জার্সি টিই মুলত সারা পৃথিবীর ভক্তরা কেনার জন্য অপেক্ষা করে আছে।

মিয়ামি – অ্যাওয়ে জার্সি

লিওনেল মেসির ক্লাব তাদের এওয়ে ম্যাচ গুলো খেলার জন্য এওয়ে জার্সি পরিধান করে থাকে।

ইন্টার মিয়ামি জার্সি - অ্যাওয়ে

মিয়ামি ক্লাবটি ২০২৩ সালের জুন মাসের দিকে লিওনেল মেসি ক্লাবটির হয়ে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ক্লাবটি আন্তর্জাতিকভাবে মনোযোগ লাভ করে। তখন থেকেই সারা পৃথিবী চোখ বুলাতে থাকে ইন্টার মিয়ামি ক্লাবের দিকে।