অনেক খেলেও ওজন বাড়ায় না যেসব খাবার 0 776

ওজন না বাড়ানোর খাবার

যারা ওজন কম রাখতে চান, সাধারণত তারা কম খান। তবে কম খাওয়া মানেই ওজন কম রাখা নয় কিংবা বেশি খেলেই ওজন বেড়ে যাবে-এমন কোনো কথা নেই। কিছু খাবার আছে যা প্রচুর পরিমাণে খেলেও আপনার ওজন বাড়বে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যা প্রচুর খেলেও আপনার ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

পালং শাক : পালং শাক শীতকালের একটি জনপ্রিয় সবজি। এতে আয়রন, জিংক এবং ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ রয়েছে। শাকটিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। পালং শাকে আয়রন, ফলিত এবং অন্য পুষ্টি উপাদান ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক।

গাজর : গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের সুস্থতা এবং দৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালীন এই সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ কম, ফাইবার সমৃদ্ধ এবং অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে গাজর।

পপকর্ন : ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক চমৎকার খাবার পপকর্ন। প্রতি কাপ পপকর্নে মাত্র ৩০ ক্যালরি থাকে এবং এটি পলিফেনলস নামে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।  এটি হজমক্রিয়া ঠিক রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

সবুজ ডাল : সবুজ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম রয়েছে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী। এ ছাড়া এটি ফলিত, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি১, ফসফরাস, আয়রন কপার, পটাশিয়াম এবং জিংকে ভরপুর। এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য, হজমক্রিয়া এবং অন্যান্য জটিল রোগের জন্য উপকারী।

আপেল : বিদেশি ফল হলেও আপেল খুবই সহজলভ্য। এটি বিভিন্নভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর গন্ধ ক্ষুধা দমন করে।আপেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম রয়েছে, যা দ্রুত হজমে সহায়ক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে ও ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট মেনে চললে ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে, শরীর থাকবে সুস্থ।

আরও পড়ুনঃ<< ১০ মিনিট এই উপায়ে দড়ি লাফালেই কমবে মেদ

Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাকা আম – পুষ্টিগুণে ভরপুর দেশী ফল 0 2174

পাকা আমের পুষ্টিগুন

চলছে আমের মৌসুম। আর পছন্দের তালিকায় সবারই কমবেশি আম পছন্দ। কাঁচা আম ও পাকা আম উভয়ই যেমন মজাদার, ঠিক তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ। স্বাদে গন্ধে ভরা এই ফলটি সংরক্ষণ করে রাখা যায় বিভিন্ন উপায়ে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমের শরবত বা জুস, মোরব্বা, আচার, জ্যাম, জেলি, আমসত্ব ইত্যাদি।

কাঁচা/ পাকা আমে আছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ ইত্যাদি। নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর আম, যা শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি কর্মশক্তি যোগাতেও সহায়তা করে। এর পুষ্টি উপাদান শরীরের নানাভাবে শক্তি যুগিয়ে ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে মানবদেহ সুস্থ রাখতে সহায়ক।

পাকা আমে কি কি উপদান আছে?

ক্যারোটিনের মাত্রা পাকা আমে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২৭৪০ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন থাকে। এতে ১.৩ গ্রাম আয়রন, ১৪ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ১৬ মি.গ্রা. ফসফরাস, ১৬ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ০.৯ মি.গ্রা. রিভোফ্লেভিন এবং ০.০৮ মি.গ্রা. থায়ামিন থাকে। এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ০.১ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১ ও ০.০৭ মি.গ্রা. বি-২ রয়েছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ০.৫ গ্রাম খনিজ লবণ থাকে। এতে কিছু পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। যেমন- প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ১ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৭ গ্রাম ফ্যাট থাকে। আম শ্বেতসারের ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ২০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়।

পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা

আমের পুষ্টিগুন

* আমের ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে।

* এর পটাশিয়াম রক্ত স্বল্পতা দূর করে ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে।

* ক্যালসিয়াম হাড় সুগঠিত করে, হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে।

* কার্বোহাইড্রেট কর্মশক্তি যোগায়।

* আম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

* আমের আয়রন অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।

* আম থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।

* এই ফলের আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে।

* দেশী আম রক্তে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের দেশী ফল যেমন, পাকা আম খাওয়া ঠিক নয়, এটা ভুল ধারণা। পরিমিত পরিমাণ আম খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত পরিমাণে পাকা আম খেতে পারেন।

খালি পেটে পাকা আম খাওয়া যাবে?
পাকা আমেও কিন্তু কৃত্রিম শর্করা থাকে। সকালে জলখাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যাবে না। খালি পেটে আমের মতো মিষ্টি ফল খেলে তা এক লাফে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই জালখাবার খাওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পর বা বিকেলে আম খাওয়া যেতে পারে।

পাকা আম বেশি পরিমানে খেলে কি হয়?
অনেক বেশি পরিমাণে দেশী আম খেলে কিছু সমস্যাও হতে পারে। আমে চিনি ও ক্যালরি বেশি থাকার কারণে আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। যেমন ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ৬০ ক্যালরি আছে, ১ কেজিতে ৬০০, ৪ কেজিতে ২ হাজার ৪০০ ক্যালরি, যা হয়তো আপনার সারা দিনে শরীরের মোট ক্যালরির সমান।

পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতিঃ সহজ ৪টি উপায় মাথায় রাখুন 0 879

বৈশাখের প্রস্তুতি

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনের একটি প্রধান উৎসব- বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিন নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার জন্য সকাল থেকেই উৎসবের সাজে সাজতে থাকে গোটা দেশ। নারী-পুরুষেরা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও পাঞ্জাবী পরে উদযাপন করতে বের হয় সম্রাট আকবর প্রচলিত এই নববর্ষকে। পহেলা বৈশাখের দিনে বিভিন্ন মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করা হয় বৈশাখ মাসের এই প্রথম দিনটিকে।

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পহেলা বৈশাখ পালনের প্রস্তুতি হিসেবে খেয়াল রাখবেন যে ৪টি বিষয়
১) নতুন পোশাক
নতুন পোষাক বলতে মূলত শাড়ি ও পাঞ্জাবী কেনার দিকেই তরুণ-তরুণিদের আগ্রহ বেশি। তবে মেয়েদের সালোয়ার কামিজ বা ছেলেদের শার্ট-প্যান্টও বেশ জনপ্রিয় পোষাক বৈশাখের। এক্ষেত্রে রঙের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। উৎসবের রঙ হিসেবে লাল বা অন্য যেকোন উজ্জ্বল রঙই ভালো মানাবে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রিয়জন বা বাবা-মাকেও উপহার দিতে পারেন শাড়ি-পাঞ্জাবী। কারণ রঙে রঙে উৎসব মাতাতে নতুন পোষাক দিতে পারে চমৎকার আবহ।
২) কোথায় ঘুরতে যাবেন আগেই ঠিক করা
নববর্ষের দিনে অনেকেরই ঘোরার প্ল্যান থাকে- কখনো বন্ধুদের নিয়ে আবার কখনো প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে। রমনা বটমূল, টিএসসি, শিল্পকলা একাডেমি সহ বিভিন্ন স্থানে পহেলা বৈশাখের মেলা সহ বিভিন্ন ধরণের আয়োজন থাকে। এক্ষেত্রে আগেই ঠিক করে নিলে বৈশাখী ঘোরাফেরা হয়ে উঠতে পারে আরো উপভোগ্য। তবে ঘোরার জন্য অধিক ভীড়ের জায়গাগুলো এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩) ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন
পহেলা বৈশাখ পালন করবেন কিন্তু পান্তা-ইলিশ খাবেন না, তা কি হয়? নববর্ষ উপলক্ষে ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয় বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারের। যেহেতু এদিন সরকারী ছুটি, তাই বাসার সবাই মিলে একসাথে বসে এরকম একটা ভোজন উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেকগুন। এক্ষেত্রে প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের বাজার-সদাই আগেই করে রাখতে হবে। চেষ্টা করবেন- দাম ও মানের একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে।
৪) প্রিয়জনকে উপহার
উপহার ছাড়া কোনো উৎসবই যেন ঠিক জমে না। পহেলা বৈশাখও এর ব্যতিক্রম না। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে প্রিয় মানুষটির মুখে হাসি ফোটানো। আর এই কাজটি পৃথিবীতে উপহারের চেয়ে ভালো কেউ পারে না। তাই স্পেশাল মানুষটির জন্য একটি চমৎকার উপহার আপনার দিনটিকেও করে তুলতে পারে অনন্য।

ভুরি ভুরি পহেলা বৈশাখ পালনের টিপস নয়, বরং এই কয়টি বিষয় খেয়াল রাখলেই আপনি পেতে পারেন দারুণ একটি পহেলা বৈশাখ। কিন্তু আমরা অনেকেই কোথায় থেকে বৈশাখের এইসব কেনাকাটা করবো তা নিয়ে সংশয়ে থাকি- এক্ষেত্রে অনলাইনে পহেলা বৈশাখ শপিং হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি সমাধান। কারণ এখন ঘরে বসেই পহেলা বৈশাখের সেরা কেনাকাটা হচ্ছে আরো সহজে। শুভ নববর্ষ ১৪২৮!